গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল বিভাগের ১৪টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করে সব শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে লে-অফের ঘোষণা কার্যকর হবে বলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়েছে।
ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী ৯ মার্চ থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও এতে বলা হয়েছে।
এ ঘোষণার পর কারখানা এলাকায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কারখানা এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা শুরু হয়। গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গ্রুপটির দৈনন্দিন কাজ পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। কোম্পানির পরিচালকদের অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
নানা কারণে নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো। শ্রমিক-কর্মচারীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার ২৪ নভেম্বর ‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করে। ১১ সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে লে-অফের ঘোষণা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এসব কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে।
বুধবার রাতের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো লিমিটেড (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতীত) ও এর সংশ্লিষ্ট অপর ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এবং ৫ ফেব্রুয়ারি হতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়।
“কোনো ভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাসমূহ ১৬ (৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানার সব শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি হতে ছাঁটাই করা হলো এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হল।”
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল বিভাগের ১৪টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করে সব শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে লে-অফের ঘোষণা কার্যকর হবে বলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়েছে।
ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী ৯ মার্চ থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও এতে বলা হয়েছে।
এ ঘোষণার পর কারখানা এলাকায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কারখানা এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা শুরু হয়। গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গ্রুপটির দৈনন্দিন কাজ পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। কোম্পানির পরিচালকদের অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
নানা কারণে নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো। শ্রমিক-কর্মচারীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার ২৪ নভেম্বর ‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করে। ১১ সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে লে-অফের ঘোষণা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এসব কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে।
বুধবার রাতের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো লিমিটেড (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতীত) ও এর সংশ্লিষ্ট অপর ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এবং ৫ ফেব্রুয়ারি হতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়।
“কোনো ভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাসমূহ ১৬ (৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানার সব শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি হতে ছাঁটাই করা হলো এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হল।”