মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার পদত্যাগ করেছেন। তিনি অফিস করছেন না। ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে হুমকির অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। জিডিতে তিনি প্রতিষ্ঠানটির নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছুটিতে আছেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, তবে তিনি সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে বদিউজ্জামানের পদত্যাগের পর আজ বৃহস্পতিবার নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নগদের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি একাধিক কর্মকর্তা ও ডাক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাকে সহকারী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নগদে নানা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার চিত্র ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে। এ জন্য পুরোনো কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে নগদ লিমিটেড ব্যাংকে জমা অর্থের অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক মানি অর্থ তৈরি করেছে, এমন অভিযোগে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলায় সরকারের ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি), নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) আসামি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সরকার আমির খসরু বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন (নম্বর ০২)। মামলায় অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি বা ই-মানি তৈরি ও নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার পদত্যাগ করেছেন। তিনি অফিস করছেন না। ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে হুমকির অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। জিডিতে তিনি প্রতিষ্ঠানটির নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছুটিতে আছেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, তবে তিনি সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে বদিউজ্জামানের পদত্যাগের পর আজ বৃহস্পতিবার নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নগদের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি একাধিক কর্মকর্তা ও ডাক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাকে সহকারী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নগদে নানা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার চিত্র ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে। এ জন্য পুরোনো কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে নগদ লিমিটেড ব্যাংকে জমা অর্থের অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক মানি অর্থ তৈরি করেছে, এমন অভিযোগে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলায় সরকারের ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি), নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) আসামি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সরকার আমির খসরু বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন (নম্বর ০২)। মামলায় অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি বা ই-মানি তৈরি ও নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।