বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি লে-অফ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে সরকার ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। এই অর্থ পরবর্তীতে বেক্সিমকো গ্রুপকে ফেরত দিতে হবে। পাওনাদারদের মধ্যে রয়েছেন ৩১,৬৭৯ জন শ্রমিক ও ১,৫৬৫ জন কর্মচারী। আগামী ৯ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে এই পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হবে এবং রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এই ঋণের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ দেবে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২০০ কোটি টাকা। বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এই পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লে-অফ চলার পর কাজের সংস্থান না হওয়ায় কারখানাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের শ্রম আইন অনুযায়ী ছাঁটাই করা হবে।
বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং বেক্সিমকোতে নিযুক্ত রিসিভার থাকবেন। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান।
২০০৮-২০২৪ সময়ে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে। এসব ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রম উপদেষ্টা জানান, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি কর্মকর্তাদেরও এই অনিয়মের জন্য দায়ী করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
সরকার বদলের পর বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গত ১৩ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। এরপর ২৯ আগস্ট তাঁর, তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
শ্রম উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের বিপক্ষে নই। শ্রমিকদের চাকরি চলে যাক, তা চাই না। কিন্তু কেউ এমন কিছু করবেন না, যাতে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হয়।’
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি লে-অফ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে সরকার ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। এই অর্থ পরবর্তীতে বেক্সিমকো গ্রুপকে ফেরত দিতে হবে। পাওনাদারদের মধ্যে রয়েছেন ৩১,৬৭৯ জন শ্রমিক ও ১,৫৬৫ জন কর্মচারী। আগামী ৯ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে এই পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হবে এবং রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এই ঋণের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ দেবে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২০০ কোটি টাকা। বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এই পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লে-অফ চলার পর কাজের সংস্থান না হওয়ায় কারখানাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের শ্রম আইন অনুযায়ী ছাঁটাই করা হবে।
বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং বেক্সিমকোতে নিযুক্ত রিসিভার থাকবেন। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান।
২০০৮-২০২৪ সময়ে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে। এসব ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রম উপদেষ্টা জানান, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি কর্মকর্তাদেরও এই অনিয়মের জন্য দায়ী করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
সরকার বদলের পর বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গত ১৩ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। এরপর ২৯ আগস্ট তাঁর, তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
শ্রম উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের বিপক্ষে নই। শ্রমিকদের চাকরি চলে যাক, তা চাই না। কিন্তু কেউ এমন কিছু করবেন না, যাতে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হয়।’