alt

অর্থ-বাণিজ্য

সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামীদিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে: আমীর খসরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামী দিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের চ্যাম্পিয়নের দরকার হয়। সাইফুর রহমান চ্যাম্পিয়ন। তিনি বাজার ব্যবস্থার চ্যাম্পিয়ন, বেসরকারি খাতের চ্যাম্পিয়ন, রপ্তানিমুখী শিল্পে চ্যাম্পিয়ন।’শুক্রবার রাতে রাজধানীর এক হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এটি বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের যৌথ উদ্যোগ গুণীজন সংবর্ধনার সপ্তম আয়োজন। এবারই প্রথমবারের মতো প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হয়েছে। আয়োজনে বক্তারা এম সাইফুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত এবং স্মৃতিচারণ করেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ছিল বাংলাদেশে অর্থনীতিকে একদলীয় অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে নিয়ে আসা। সব মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। এই ধারণায় বিশ্বাস করতেন সাইফুর রহমান। সাইফুর রহমান সবসময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেননি। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের হতাশ করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চিন্তা করতেন। বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা তিনি খুব বেশি চাননি। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে তার উদ্যোগ ছিল অসাধারণ।’

সাইফুর রহমান কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হতে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আদর্শগত, অর্থনৈতিক, দারিদ্র্য দূরীকরণে বিএনপি যে চিন্তাভাবনা করছে তা জিয়াউর রহমানের চিন্তা থেকে এসেছে। সাইফুর রহমান মানসিকভাকে এ দিকটা বহন করেছেন। আগামীদিনের বাংলাদেশে বিএনপি সেই জায়গা থেকে সরে দাঁড়াবে না। সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামী দিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে। সাইফুর রহমান অর্থনীতিত ডিরেগুলেশন, লিবারাইলেজশন করেছেন। আমরা এরচেয়ে বড় ডিরেগুলেশন ও লিবারালাইজেশন করবো।’

অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ফিসক্যাল পলিসি, মনিটারি পলিসিসহ তার মৌলিক সংস্কারের জন্য দুর্বৃত্তায়ন হওয়ার পরও অর্থনীতি বেশ কিছুদূর টেনে নেওয়া গেছে।’

বিআইডিএসের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. কাজী ইকবাল বলেন, ‘সাইফুর রহমান আমাদের ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি গবেষণা পছন্দ করতেন। নব্বইয়ের দশকে অর্থনৈতিক সংস্কারে তার বড় ভূমিকা ছিল।’

সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেন, ‘সাইফুর রহমানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পেশাদারত্ব ছিল। সরকার কীভাবে চলে তিনি ভালো বুঝতেন। এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেটি সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না।’

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাইফুর রহমান আলোকিত মানুষ ছিলেন। তিনি কোনোদিন আসবেন না। তিনি দেশকে যা দিয়ে গেছেন তা লালন করতে পারলে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো। তার নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পোশাকশিল্পের আজ বিস্তার ঘটেছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এম সাইফুর রহমান ১৯৭৬ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এসব দায়িত্ব পালনকালে তিনি ভ্যাট, পোশাক খাতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা চালুসহ অর্থনীতিতে ব্যক্তি খাতের বিকাশ ও নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৬-১৯৮০ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৮০-১৯৮২ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী, ১৯৯১-১৯৯৬ পর্যন্ত টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’র সম্ভাবনা কাজে লাগাতে টেনসেন্ট ও বিআইপিএফ এর যৌথ উদ্যোগ

পাচার করা অর্থ ফেরাতে ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ চায় এনবিআর

ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার দাবি

১২ মার্চ ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়ছে সরকার

ব্যাংকে তারল্য বেড়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা

মুরগি ও ডিমে সিন্ডিকেট করে ৬ মাসে অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে ৯৬০ কোটি

ছবি

বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে সরকার

ছবি

নগদের প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদারের পদত্যাগ, নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন মোতাছিম বিল্লাহ

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি কারখানা বন্ধ, শ্রমিক ছাঁটাই

ছবি

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা শোধ শুরু ৯ মার্চ, সরকারের খরচ ৫২৫ কোটি টাকা: শ্রম উপদেষ্টা

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারী কমলেও বাড়ছে দেশি বিনিয়োগকারী

চাল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়

ছবি

দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে: গভর্নর

অর্থবছরের ৬ মাসে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি

ছবি

ভারতীয় সুতার কারণে ক্ষতির মুখে দেশীয় টেক্সটাইল মিলস: বিটিএমএ

রোজার মাসে ব্যাংকের লেনদেন সময়সূচিতে পরিবর্তন

ছবি

আগামী বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হচ্ছে: এনবিআর

৪ হাজার ২৯ কোটি টাকায় ছয়টি জাহাজ কিনবে বিএসসি

ছবি

স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে

ছবি

গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হলে চাপে পড়বে অর্থনীতি: মাসরুর রিয়াজ

সিলেটের ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দর চায় না চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ

সিটিসি গ্রান্ট প্রোগ্রামের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

ছবি

বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার প্রধান সমস্যা মূলধনের অভাব: বিবিএস এর জরিপ

প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সংস্কার হয় না: সানেম

বাজার মূলধন সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়লো শেয়ারবাজারে

ছবি

বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

সার সংরক্ষণে চার জেলায় গোডাউন নির্মাণের সিদ্ধান্ত

ছবি

জাপানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে চুক্তির অনুমোদন

এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন

রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো যেন রাজনৈতিক কারণে থেমে না যায়: গভর্নর

ছবি

পাঁচ বছরে সবনিম্ন অবস্থায় দেশের বিনিয়োগ

ছবি

অর্থনীতির এত সমস্যা একসঙ্গে অন্য কোথাও হয়নি: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

tab

অর্থ-বাণিজ্য

সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামীদিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে: আমীর খসরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামী দিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের চ্যাম্পিয়নের দরকার হয়। সাইফুর রহমান চ্যাম্পিয়ন। তিনি বাজার ব্যবস্থার চ্যাম্পিয়ন, বেসরকারি খাতের চ্যাম্পিয়ন, রপ্তানিমুখী শিল্পে চ্যাম্পিয়ন।’শুক্রবার রাতে রাজধানীর এক হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এটি বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের যৌথ উদ্যোগ গুণীজন সংবর্ধনার সপ্তম আয়োজন। এবারই প্রথমবারের মতো প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হয়েছে। আয়োজনে বক্তারা এম সাইফুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত এবং স্মৃতিচারণ করেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ছিল বাংলাদেশে অর্থনীতিকে একদলীয় অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে নিয়ে আসা। সব মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। এই ধারণায় বিশ্বাস করতেন সাইফুর রহমান। সাইফুর রহমান সবসময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেননি। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের হতাশ করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চিন্তা করতেন। বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা তিনি খুব বেশি চাননি। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে তার উদ্যোগ ছিল অসাধারণ।’

সাইফুর রহমান কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হতে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আদর্শগত, অর্থনৈতিক, দারিদ্র্য দূরীকরণে বিএনপি যে চিন্তাভাবনা করছে তা জিয়াউর রহমানের চিন্তা থেকে এসেছে। সাইফুর রহমান মানসিকভাকে এ দিকটা বহন করেছেন। আগামীদিনের বাংলাদেশে বিএনপি সেই জায়গা থেকে সরে দাঁড়াবে না। সাইফুর রহমানের দেখানো পথেই আগামী দিনে অর্থনৈতিক সংস্কার হবে। সাইফুর রহমান অর্থনীতিত ডিরেগুলেশন, লিবারাইলেজশন করেছেন। আমরা এরচেয়ে বড় ডিরেগুলেশন ও লিবারালাইজেশন করবো।’

অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ফিসক্যাল পলিসি, মনিটারি পলিসিসহ তার মৌলিক সংস্কারের জন্য দুর্বৃত্তায়ন হওয়ার পরও অর্থনীতি বেশ কিছুদূর টেনে নেওয়া গেছে।’

বিআইডিএসের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. কাজী ইকবাল বলেন, ‘সাইফুর রহমান আমাদের ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি গবেষণা পছন্দ করতেন। নব্বইয়ের দশকে অর্থনৈতিক সংস্কারে তার বড় ভূমিকা ছিল।’

সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেন, ‘সাইফুর রহমানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পেশাদারত্ব ছিল। সরকার কীভাবে চলে তিনি ভালো বুঝতেন। এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেটি সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না।’

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাইফুর রহমান আলোকিত মানুষ ছিলেন। তিনি কোনোদিন আসবেন না। তিনি দেশকে যা দিয়ে গেছেন তা লালন করতে পারলে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো। তার নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পোশাকশিল্পের আজ বিস্তার ঘটেছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এম সাইফুর রহমান ১৯৭৬ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এসব দায়িত্ব পালনকালে তিনি ভ্যাট, পোশাক খাতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা চালুসহ অর্থনীতিতে ব্যক্তি খাতের বিকাশ ও নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৬-১৯৮০ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৮০-১৯৮২ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী, ১৯৯১-১৯৯৬ পর্যন্ত টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

back to top