দুই দিন আগেও সিলেটের বাজারে ২০ টাকা দিয়ে মিলেছে এক হালি লেবু। কিন্তু রোববার (২ মার্চ) সিলেটের বাজারগুলোতে একহালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। শুধু লেবু নয়, শসা, বেগুন, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ রমজানে চাহিদা বেশি থাকে এমন সব শাকসবজির দাম বেড়েছে।
নগরীর বন্দর বাজারে শাকসবজি কিনতে আসা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘রমজান হতে না হতেই শাকসবজির দাম বেড়ে গেছে। চার দিন আগেও একহালি লেবু নিয়েছি ২০ টাকা দিয়ে আজ ২০০ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে লেবু।’
কাজিটুলা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘রমজানে লেবুর চাহিদা বেশি। তাই পাইকারি বাজারে লেবুর দাম বাড়ানো হয়েছে। সেজন্য আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’
পবিত্র রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেসব পণ্যের দাম বাড়ছে। ইতোমধ্যে লেবু, বেগুন, শসা, বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গরু, খাসি, মুরগির মাংস ও বিভিন্ন ফলের দামও বেড়েছে। গতকাল সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট, কাজিটুলা, আম্বরখানা, টুকেরবাজার, মদীনা মার্কেট, বন্দরবাজার, কাজিরবাজার এবং রিকাবীবাজার এলাকা বাজারের এই চিত্র দেখা যায়।
নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে, যা দুই দিন আগে পাওয়া যেত ১৫/ ২০ টাকা হালিতে। ৬ টাকা আটির লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। শসা কেজিপ্রতি ছিল ৪০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। বেগুন ছিল ৪০ টাকা কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, আলু, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
নগরীর কালীবাড়ি এলাকার গৃহিণী জান্নাতুল সাদিয়া বলেন, সারা দিন রোজা রেখে একটু লেবুর শরবত খেলে তৃষ্ণা মিটে। কিন্তু রোজা শুরু হওয়ার আগেই লেবুর যে দাম বাড়া শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে আর এক সপ্তাহ পরে ৪০০ টাকা হালি লেবু খেতে হবে। বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়ে। চিনিগুড়া চাল না কিনলে সয়াবিন তেল দেন না বিক্রেতা। এবারে রমজান মাস মনে হয় খাদ্যপণ্য নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে।
তবে শুধু যে কাঁচাবাজারে সবজির দাম বেশি তা কিন্তু নয়। ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও চড়া দামে বিক্রি করছেন শাকসবজি। ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা কালা মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবারও পাইকারি বাজার থেকে শসা কিনেছি ২৪ টাকা কেজিতে অথচ আজ ৩৪ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। এ রকম রোজায় প্রয়োজনীয় প্রায় সব সবজির দাম পাইকারি বাজারে বাড়িয়ে দিয়েছে। চড়া দামে কেনায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আসন্ন রমজান মাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা, মহিষ ৬৫০ টাকা, ছাগল/ভেড়া ৯৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে সিসিকের নির্ধারিত দামে কেউই মাংস বিক্রি করছেন না।
খুচরা বাজারে সাদা ব্রয়লার মোরগের কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। লাল মোরগের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। কক ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি মোরগের ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গরু ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
দুই দিন আগেও সিলেটের বাজারে ২০ টাকা দিয়ে মিলেছে এক হালি লেবু। কিন্তু রোববার (২ মার্চ) সিলেটের বাজারগুলোতে একহালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। শুধু লেবু নয়, শসা, বেগুন, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ রমজানে চাহিদা বেশি থাকে এমন সব শাকসবজির দাম বেড়েছে।
নগরীর বন্দর বাজারে শাকসবজি কিনতে আসা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘রমজান হতে না হতেই শাকসবজির দাম বেড়ে গেছে। চার দিন আগেও একহালি লেবু নিয়েছি ২০ টাকা দিয়ে আজ ২০০ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে লেবু।’
কাজিটুলা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘রমজানে লেবুর চাহিদা বেশি। তাই পাইকারি বাজারে লেবুর দাম বাড়ানো হয়েছে। সেজন্য আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’
পবিত্র রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেসব পণ্যের দাম বাড়ছে। ইতোমধ্যে লেবু, বেগুন, শসা, বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গরু, খাসি, মুরগির মাংস ও বিভিন্ন ফলের দামও বেড়েছে। গতকাল সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট, কাজিটুলা, আম্বরখানা, টুকেরবাজার, মদীনা মার্কেট, বন্দরবাজার, কাজিরবাজার এবং রিকাবীবাজার এলাকা বাজারের এই চিত্র দেখা যায়।
নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে, যা দুই দিন আগে পাওয়া যেত ১৫/ ২০ টাকা হালিতে। ৬ টাকা আটির লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। শসা কেজিপ্রতি ছিল ৪০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। বেগুন ছিল ৪০ টাকা কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, আলু, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
নগরীর কালীবাড়ি এলাকার গৃহিণী জান্নাতুল সাদিয়া বলেন, সারা দিন রোজা রেখে একটু লেবুর শরবত খেলে তৃষ্ণা মিটে। কিন্তু রোজা শুরু হওয়ার আগেই লেবুর যে দাম বাড়া শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে আর এক সপ্তাহ পরে ৪০০ টাকা হালি লেবু খেতে হবে। বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়ে। চিনিগুড়া চাল না কিনলে সয়াবিন তেল দেন না বিক্রেতা। এবারে রমজান মাস মনে হয় খাদ্যপণ্য নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে।
তবে শুধু যে কাঁচাবাজারে সবজির দাম বেশি তা কিন্তু নয়। ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও চড়া দামে বিক্রি করছেন শাকসবজি। ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা কালা মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবারও পাইকারি বাজার থেকে শসা কিনেছি ২৪ টাকা কেজিতে অথচ আজ ৩৪ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। এ রকম রোজায় প্রয়োজনীয় প্রায় সব সবজির দাম পাইকারি বাজারে বাড়িয়ে দিয়েছে। চড়া দামে কেনায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আসন্ন রমজান মাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা, মহিষ ৬৫০ টাকা, ছাগল/ভেড়া ৯৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে সিসিকের নির্ধারিত দামে কেউই মাংস বিক্রি করছেন না।
খুচরা বাজারে সাদা ব্রয়লার মোরগের কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। লাল মোরগের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। কক ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি মোরগের ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গরু ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।