বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও সদস্যদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) দিনভর আন্দোলনের পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন।
দিনের বড় সময়জুড়ে বিএসইসি কার্যালয়ের মূল ফটক আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা। বিকালে সেনাসদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভবন ত্যাগ করলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরা অফিসে আসব, কিন্তু কোনো কাজ করব না।”
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জানান, ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হওয়ায় কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে ৪ মার্চ অবসরে পাঠানো হয়। তার দাবি, এই সিদ্ধান্তের জেরে কিছু কর্মকর্তা কমিশনের বোর্ড রুমে ঢুকে তাকে ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন, কার্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিএসইসির মূল ফটক বন্ধ ছিল। এরপর সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনে প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে বিকেল ৪টায় নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, সাইফুর রহমানকে সরকারি কর্মচারী বিধি অনুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়েছে, যা কমিশনের আইনের পরিপন্থী। তারা দাবি করেন, কমিশনের কর্মচারীদের জন্য কমিশন আইনই প্রযোজ্য, অন্য কোনো বিধি নয়।
তিনি আরও জানান, কর্মচারীদের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশও বাতিল করতে হবে। দাবি না মানা হলে কর্মবিরতি শুরু হবে।
এদিকে, বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান কমিশন গঠনের পর আগের তদন্তাধীন অনিয়মের ঘটনাগুলো সমাপ্ত করে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করা হয়েছে এবং ৭টি তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি মানার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না আসায় তারা কমিশনের অধীনে কাজ না-করার ঘোষণা দেন। বিকাল সোয়া ৫টায় সেনা সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে বিএসইসির নিরাপত্তাকর্মীরা ফটকে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও সদস্যদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) দিনভর আন্দোলনের পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন।
দিনের বড় সময়জুড়ে বিএসইসি কার্যালয়ের মূল ফটক আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা। বিকালে সেনাসদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভবন ত্যাগ করলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরা অফিসে আসব, কিন্তু কোনো কাজ করব না।”
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জানান, ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হওয়ায় কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে ৪ মার্চ অবসরে পাঠানো হয়। তার দাবি, এই সিদ্ধান্তের জেরে কিছু কর্মকর্তা কমিশনের বোর্ড রুমে ঢুকে তাকে ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন, কার্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিএসইসির মূল ফটক বন্ধ ছিল। এরপর সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনে প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে বিকেল ৪টায় নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, সাইফুর রহমানকে সরকারি কর্মচারী বিধি অনুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়েছে, যা কমিশনের আইনের পরিপন্থী। তারা দাবি করেন, কমিশনের কর্মচারীদের জন্য কমিশন আইনই প্রযোজ্য, অন্য কোনো বিধি নয়।
তিনি আরও জানান, কর্মচারীদের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশও বাতিল করতে হবে। দাবি না মানা হলে কর্মবিরতি শুরু হবে।
এদিকে, বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান কমিশন গঠনের পর আগের তদন্তাধীন অনিয়মের ঘটনাগুলো সমাপ্ত করে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করা হয়েছে এবং ৭টি তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি মানার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না আসায় তারা কমিশনের অধীনে কাজ না-করার ঘোষণা দেন। বিকাল সোয়া ৫টায় সেনা সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে বিএসইসির নিরাপত্তাকর্মীরা ফটকে দায়িত্ব পালন করছেন।