বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারিতে নতুন ঋণের চেয়ে সুদ ও আসল পরিশোধেই বেশি ডলার বাইরে গেছে। এ মাসে মোট বিদেশি ঋণের স্থিতি ৯.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে,
যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এ খাতের ঋণ ছিল ৯.২০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ আসলেও পরিশোধ করতে হয়েছে ২.১০ বিলিয়ন ডলার। ফলে এক মাসে ঋণ পরিশোধে ৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বেশি খরচ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাহিদা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছে না। ঋণ পরিশোধের চাপ রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং ডলারের দর স্থিতিশীল রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি ডলার সংকট ও উচ্চমূল্যের কারণে বিনিয়োগকারীরাও সতর্ক হয়ে উঠেছেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, গত দুই বছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ভালো না হওয়ায় রিস্ক পার্সেপশন বেড়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ হ্রাস পেয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার কমলেও বাংলাদেশে রিস্ক প্রিমিয়াম বেড়ে যাওয়ায় ঋণের খরচ কমেনি।
২০২৩ সালে বেসরকারি খাতে ২৫.৭৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ আসলেও পরিশোধ করতে হয়েছে ৩১.১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে ঋণ এসেছে ২১.০৪ বিলিয়ন ডলার, পরিশোধ হয়েছে ২৩.১৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত দুই বছরে ঋণ পরিশোধের চাপ বেশি থাকায় বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমদানি, বিদ্যুৎ খাতের বিল পরিশোধ ও টিকেট রেভিনিউ ট্রান্সফারে বিলম্বের মতো বিষয়গুলোও ঋণ প্রবাহ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রেডিট রেটিং উন্নতি ও রিস্ক পার্সেপশন কমানো না গেলে এ সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারিতে নতুন ঋণের চেয়ে সুদ ও আসল পরিশোধেই বেশি ডলার বাইরে গেছে। এ মাসে মোট বিদেশি ঋণের স্থিতি ৯.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে,
যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এ খাতের ঋণ ছিল ৯.২০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ আসলেও পরিশোধ করতে হয়েছে ২.১০ বিলিয়ন ডলার। ফলে এক মাসে ঋণ পরিশোধে ৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বেশি খরচ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাহিদা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছে না। ঋণ পরিশোধের চাপ রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং ডলারের দর স্থিতিশীল রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি ডলার সংকট ও উচ্চমূল্যের কারণে বিনিয়োগকারীরাও সতর্ক হয়ে উঠেছেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, গত দুই বছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ভালো না হওয়ায় রিস্ক পার্সেপশন বেড়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ হ্রাস পেয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার কমলেও বাংলাদেশে রিস্ক প্রিমিয়াম বেড়ে যাওয়ায় ঋণের খরচ কমেনি।
২০২৩ সালে বেসরকারি খাতে ২৫.৭৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ আসলেও পরিশোধ করতে হয়েছে ৩১.১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে ঋণ এসেছে ২১.০৪ বিলিয়ন ডলার, পরিশোধ হয়েছে ২৩.১৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত দুই বছরে ঋণ পরিশোধের চাপ বেশি থাকায় বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমদানি, বিদ্যুৎ খাতের বিল পরিশোধ ও টিকেট রেভিনিউ ট্রান্সফারে বিলম্বের মতো বিষয়গুলোও ঋণ প্রবাহ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রেডিট রেটিং উন্নতি ও রিস্ক পার্সেপশন কমানো না গেলে এ সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।