গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি বড় অঙ্কে কমেছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৮৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৯টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এর আগে টানা ছয় সপ্তাহ ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে। ছয় সপ্তাহের বাজার মূলধন বাড়ে ৩৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৪৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ।
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাইনপুকুর সিরামিক, আলহাজ টেক্সটাইল, লাভেলো আইসক্রিম, রবি, কেডিএস, ফু-ওয়াং ফুড এবং আইএফআইসি ব্যাংক।
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি বড় অঙ্কে কমেছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৮৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৯টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এর আগে টানা ছয় সপ্তাহ ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে। ছয় সপ্তাহের বাজার মূলধন বাড়ে ৩৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৪৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ।
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাইনপুকুর সিরামিক, আলহাজ টেক্সটাইল, লাভেলো আইসক্রিম, রবি, কেডিএস, ফু-ওয়াং ফুড এবং আইএফআইসি ব্যাংক।