alt

অর্থ-বাণিজ্য

মার্চে ৮ দিনেই রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরই বেড়ে যায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স আসে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসে (মার্চ) নতুন রেকর্ড গড়তে পারে রেমিট্যান্স। ভাঙতে পারে অতীতের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মার্চের প্রথম ৮ দিনে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। এসময়ে প্রতিদিন গড়ে আসছে ১০ কোটি ডলারের (১২৪১ কোটি টাকা) বেশি। রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স আসতে পারে তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থপাচার কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারির দৌরাত্ম্যও। অন্যদিকে, খোলাবাজারের মতো ব্যাংকেও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরেও বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আলোচিত সময়ে (মার্চের প্রথম ৮ দিন) রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের বেশি, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এসেছিল এক হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ডলার।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে রেকর্ড ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

গত ডিসেম্বরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

অবশেষে সামান্য উত্থান শেয়ারবাজারে

প্রথম দিনে বেক্সিমকোর ২৪৫ শ্রমিক পেল ৮০ লাখ টাকা

ছবি

জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এক দশকে সর্বনিম্ন

ছবি

এমএলএম ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত

ছবি

বনানীতে "উইমেনস সামিট অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৫", থাকছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড পণ্যের প্রদর্শনী

ছবি

আকুর বিল পরিশোধে রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে

বেক্সিমকোর ২৪৫ শ্রমিককে ৮০ লাখ টাক াদেয়া হলো

ছবি

স্বর্ণের দাম আরও কমলো

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে কমেছে অর্থনীতির গতি, পিএমআই সূচক ৬৪.৬

পোশাক ও বস্ত্রখাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান আরএমজি মালিকরা

পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকিতে ভোক্তার ১৩ টিম

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে সূচক

ছবি

কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করবো : বিএসইসি চেয়ারম্যান

ছবি

বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ও হুয়াওয়ে

ছয় মাসে ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার

শেয়ারবাজারে মূলধন কমলো ১৩ হাজার কোটি টাকা

পরিবেশবান্ধব ব্লক শতভাগ ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও হচ্ছে মাত্র ২০ ভাগ

বিজিএমইএর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৮ মে

বিএসইসির অভিযুক্ত ১৬ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ

ছবি

৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রপ্তানি ফেব্রুয়ারিতে

ছবি

শিবগঞ্জে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট

সেবা-কৃষি খাতে মজুরি কমেছে, অপরিবর্তিত শিল্পে

দেশি-বিদেশি সফল উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেবে বিডা

বেক্সিমকো শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ শুরু আগামীকাল

বিএসইসির কমিশনকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ, ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্বিগুণ রেমিট্যান্স

ছবি

বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ:গ্রহণ কম,পরিশোধ বেশী

ছবি

অন্তত দুই বিলিয়ন ডলারের পাটপণ্য রপ্তানি করতে চায় সরকার

কর ব্যবস্থার সংস্কার হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক: পলিসি এক্সচেঞ্জ

ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা বাতিলের দাবি অ্যামচেমের

সিআইবিতে ভুল তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

বিএসইসিতে চলমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চায় স্টক ব্রোকাররা

ছবি

বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সচল মাত্র ৫৫ শতাংশ

ছবি

বিএসইসি’র কঠোর অবস্থান, কমিশনের পদত্যাগ চায় আন্দোলনকারীরা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

মার্চে ৮ দিনেই রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরই বেড়ে যায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স আসে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসে (মার্চ) নতুন রেকর্ড গড়তে পারে রেমিট্যান্স। ভাঙতে পারে অতীতের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মার্চের প্রথম ৮ দিনে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। এসময়ে প্রতিদিন গড়ে আসছে ১০ কোটি ডলারের (১২৪১ কোটি টাকা) বেশি। রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স আসতে পারে তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থপাচার কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারির দৌরাত্ম্যও। অন্যদিকে, খোলাবাজারের মতো ব্যাংকেও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরেও বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আলোচিত সময়ে (মার্চের প্রথম ৮ দিন) রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের বেশি, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এসেছিল এক হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ডলার।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে রেকর্ড ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

গত ডিসেম্বরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

back to top