চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে
টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়ে ৮ শতাংশের ওপরে উঠেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় যা ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে আমানতের এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ওই মাসে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর আগে ব্যাংক খাত আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখেছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সেবার ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
সবশেষ চার মাসে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি আটকে ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতার পালাবদলের পর সরকারের তরফে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অব্স্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা রাখা কমিয়ে দেওয়াকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। আর বাংলাদেশের মত দেশে ১২-১৪ শতাংশ হওয়া উচিত।’
জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে নানা সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি আসেনি।
সরকার পতনের মাস অগাস্টে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ব্যাংক আমানতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ১০ শতাংশের কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমানতের প্রবৃদ্ধি যেহেতু সামান্য বেড়েছে তার মানে গ্রাহকদের ব্যাংকিংখাতের ওপর আস্থা আসছে। আগের চেয়ে আমানতের প্রবাহ বেড়েছে।
তবে গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সবল ব্যাংকে জমা রাখছেন। এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।’
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়ে ৮ শতাংশের ওপরে উঠেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় যা ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে আমানতের এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ওই মাসে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর আগে ব্যাংক খাত আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখেছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সেবার ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
সবশেষ চার মাসে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি আটকে ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতার পালাবদলের পর সরকারের তরফে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অব্স্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা রাখা কমিয়ে দেওয়াকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। আর বাংলাদেশের মত দেশে ১২-১৪ শতাংশ হওয়া উচিত।’
জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে নানা সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি আসেনি।
সরকার পতনের মাস অগাস্টে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ব্যাংক আমানতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ১০ শতাংশের কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমানতের প্রবৃদ্ধি যেহেতু সামান্য বেড়েছে তার মানে গ্রাহকদের ব্যাংকিংখাতের ওপর আস্থা আসছে। আগের চেয়ে আমানতের প্রবাহ বেড়েছে।
তবে গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সবল ব্যাংকে জমা রাখছেন। এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।’