গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৯৬ দশমিক ১৫ ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৮২২ দশমিক ৮৩ ডলার। পাঁচ বছরে কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ ডলার।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে।শনিবার আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ ডলার। শনিবার সকালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৮৬ দশমিক ৫ ডলার। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৯০ ডলার। বাস্তবতা হলো, গত ৩০ দিনে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ১৪ ডলার। এর মধ্যে গত ৯ দিনে বেড়েছে প্রায় ৫৮ ডলার। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
নানা কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। তার মধ্যে আছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ ও তার জেরে শুল্কযুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুরক্ষিত বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে অনেকে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করেও অনেকে কিনছেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, ‘চলমান ভূ–অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ নিজেদের অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শঙ্কিত। এ পরিস্থিতিতে তাঁর ধারণা, মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হিসেবে আবারও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন এবং সে কারণে স্বর্ণের দাম বাড়বে।’
ট্রাম্প যেভাবে শুল্ক আরোপ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর পাল্টা হিসেবে অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে। ফলে ওই সব দেশেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণেও মানুষ স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করেন জো কাভাতোনি।
স্বর্ণের ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও স্বর্ণের বার ও স্বর্ণভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন স্বর্ণ।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৯৬ দশমিক ১৫ ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৮২২ দশমিক ৮৩ ডলার। পাঁচ বছরে কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ ডলার। এ ছাড়া গত ২০ বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৪২ ডলার।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও স্বর্ণের দাম হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ৮ মার্চ স্বর্ণের দাম দেশের বাজারে কমানো হয়। সেই দফায় ভরিতে দাম কমানো হয় ১ হাজার ৩৮ টাকা। এতে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। ভারতের বাজারে স্বর্ণের দাম এখন সর্বোচ্চ। জিএসটি নিয়ে স্বর্ণের দাম পেরিয়ে গেছে ৯০ হাজার রুপি।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৯৬ দশমিক ১৫ ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৮২২ দশমিক ৮৩ ডলার। পাঁচ বছরে কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ ডলার।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে।শনিবার আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ ডলার। শনিবার সকালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৮৬ দশমিক ৫ ডলার। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৯০ ডলার। বাস্তবতা হলো, গত ৩০ দিনে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ১৪ ডলার। এর মধ্যে গত ৯ দিনে বেড়েছে প্রায় ৫৮ ডলার। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
নানা কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। তার মধ্যে আছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ ও তার জেরে শুল্কযুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুরক্ষিত বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে অনেকে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করেও অনেকে কিনছেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, ‘চলমান ভূ–অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ নিজেদের অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শঙ্কিত। এ পরিস্থিতিতে তাঁর ধারণা, মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হিসেবে আবারও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন এবং সে কারণে স্বর্ণের দাম বাড়বে।’
ট্রাম্প যেভাবে শুল্ক আরোপ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর পাল্টা হিসেবে অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে। ফলে ওই সব দেশেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণেও মানুষ স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করেন জো কাভাতোনি।
স্বর্ণের ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও স্বর্ণের বার ও স্বর্ণভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন স্বর্ণ।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৯৬ দশমিক ১৫ ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৮২২ দশমিক ৮৩ ডলার। পাঁচ বছরে কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ ডলার। এ ছাড়া গত ২০ বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৪২ ডলার।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও স্বর্ণের দাম হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ৮ মার্চ স্বর্ণের দাম দেশের বাজারে কমানো হয়। সেই দফায় ভরিতে দাম কমানো হয় ১ হাজার ৩৮ টাকা। এতে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। ভারতের বাজারে স্বর্ণের দাম এখন সর্বোচ্চ। জিএসটি নিয়ে স্বর্ণের দাম পেরিয়ে গেছে ৯০ হাজার রুপি।