প্রবাসীদের রেমিটেন্স সুবিধার অপব্যবহার
প্রবাসীদের জন্য করমুক্ত রেমিটেন্স সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তির ৭৩০ কোটি টাকা দেশে আনার তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বিসিএস কর ক্যাডারদের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, "নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশন নেওয়ার পরে অটোমেটিক্যালি আপনারা জেনে যাবেন।"
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ রেমিটেন্স হিসেবে দেশে আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, "আমরা আইন করেছি, যাতে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে আয় পাঠালে তা করমুক্ত হয়। এটি রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু এই সুবিধার অপব্যবহার করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "একজন ট্যাক্সপেয়ার ৭৩০ কোটি টাকা এনেছেন এবং দাবি করছেন এটি ওয়েজ আর্নার্স ইনকাম, তাই ট্যাক্স ফ্রি। এ ধরনের কর ফাঁকি ও বিধিবহির্ভূত কার্যক্রমের কারণেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে।"
বর্তমানে প্রবাসীদের পাঠানো বৈধ রেমিটেন্সে করমুক্তির পাশাপাশি ২.৫% নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, কর ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় অনেকেই সুযোগ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, "১ কোটি ১৩ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) মধ্যে মাত্র ৪০ লাখ রিটার্ন দেন, বাকিরা দেন না। যারা রিটার্ন দেন না, তারা কোনো ঝামেলায় পড়েন না, বরং যারা রিটার্ন দেন, তারাই ঝামেলায় পড়েন।"
আগামীতে এনবিআর ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) সংযোগ করে করদাতাদের আয় ও উৎসে কর কাটা সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।
সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা করদাতাদের ভয়ভীতি দূর করা এবং কর সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য অনলাইনে প্রকাশের আহ্বান জানান। এছাড়া বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান সভায় বক্তব্য দেন।
প্রবাসীদের রেমিটেন্স সুবিধার অপব্যবহার
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
প্রবাসীদের জন্য করমুক্ত রেমিটেন্স সুবিধার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তির ৭৩০ কোটি টাকা দেশে আনার তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বিসিএস কর ক্যাডারদের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, "নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশন নেওয়ার পরে অটোমেটিক্যালি আপনারা জেনে যাবেন।"
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ রেমিটেন্স হিসেবে দেশে আনার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, "আমরা আইন করেছি, যাতে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে আয় পাঠালে তা করমুক্ত হয়। এটি রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু এই সুবিধার অপব্যবহার করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "একজন ট্যাক্সপেয়ার ৭৩০ কোটি টাকা এনেছেন এবং দাবি করছেন এটি ওয়েজ আর্নার্স ইনকাম, তাই ট্যাক্স ফ্রি। এ ধরনের কর ফাঁকি ও বিধিবহির্ভূত কার্যক্রমের কারণেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে।"
বর্তমানে প্রবাসীদের পাঠানো বৈধ রেমিটেন্সে করমুক্তির পাশাপাশি ২.৫% নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, কর ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় অনেকেই সুযোগ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, "১ কোটি ১৩ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) মধ্যে মাত্র ৪০ লাখ রিটার্ন দেন, বাকিরা দেন না। যারা রিটার্ন দেন না, তারা কোনো ঝামেলায় পড়েন না, বরং যারা রিটার্ন দেন, তারাই ঝামেলায় পড়েন।"
আগামীতে এনবিআর ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) সংযোগ করে করদাতাদের আয় ও উৎসে কর কাটা সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।
সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা করদাতাদের ভয়ভীতি দূর করা এবং কর সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য অনলাইনে প্রকাশের আহ্বান জানান। এছাড়া বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান সভায় বক্তব্য দেন।