চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা এক মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মার্চে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে এবার প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে।
তিনি বলেন, “চলতি বছর মার্চে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ৬৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ ছাড়া দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২৬৪ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসার তথ্য আগেই জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। মার্চের প্রথম ২৬ দিনেই ২৯৪ কোটি ডলার দেশে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। আর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এসেছিল ১ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ, এ সময়ে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ জানান, “ঈদের আগে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মার্চ মাসে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। গত ১০ বছরের ডেটা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ঈদের আগেই বেশি রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা।”
রেমিটেন্স বৃদ্ধির পেছনে আরও দুটি বড় কারণ তুলে ধরেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, “ডলারের দামে এক রকম স্থিতিশীলতা এসেছে। ডলার দর স্থিতিশীল থাকলে সেখানে আস্থা তৈরি হয়। আর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেকে জেলে গিয়েছেন। তাতে হুন্ডি মার্কেট এখন আগের মত নেই। হুন্ডিতে রেমিটেন্স পাঠানোর চাহিদা কমেছে। তাই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স এসেছে বেশি।”
চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে আসে।
এর প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য এক টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনাবেচার সুযোগ রাখা হয়।
ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন। এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ব্যবধান (স্প্রেড) এক টাকা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। তা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানার কথাও বলা হয়।
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা এক মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মার্চে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে এবার প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে।
তিনি বলেন, “চলতি বছর মার্চে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ৬৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ ছাড়া দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২৬৪ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসার তথ্য আগেই জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। মার্চের প্রথম ২৬ দিনেই ২৯৪ কোটি ডলার দেশে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। আর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এসেছিল ১ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ, এ সময়ে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ জানান, “ঈদের আগে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মার্চ মাসে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। গত ১০ বছরের ডেটা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ঈদের আগেই বেশি রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা।”
রেমিটেন্স বৃদ্ধির পেছনে আরও দুটি বড় কারণ তুলে ধরেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, “ডলারের দামে এক রকম স্থিতিশীলতা এসেছে। ডলার দর স্থিতিশীল থাকলে সেখানে আস্থা তৈরি হয়। আর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেকে জেলে গিয়েছেন। তাতে হুন্ডি মার্কেট এখন আগের মত নেই। হুন্ডিতে রেমিটেন্স পাঠানোর চাহিদা কমেছে। তাই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স এসেছে বেশি।”
চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে আসে।
এর প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য এক টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনাবেচার সুযোগ রাখা হয়।
ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন। এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ব্যবধান (স্প্রেড) এক টাকা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। তা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানার কথাও বলা হয়।