আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বিদেশি মুদ্রার বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারমুখী করতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার সংস্থাটির ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে এই সময় চাওয়ার কথা তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে নেমে না আসা পর্যন্ত বিনিময়হারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাটির পুরো শর্ত বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব করার কথা বলেছেন তিনি। গর্ভনরের আশা আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি অন্তত ৮ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিন সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের সঙ্গে সফরকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে আবারও বিনিময়হার পুরোটাই বাজারমুখী করার তাগাদা এসেছে। আইএমএফ এখনই তা বাজারের উপর ছেড়ে দিতে চায়। তবে মূল্যস্ফীতিসহ বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখনই তা বাজারমুখী করা কেন সম্ভব না সেই পরিস্থিতি তুলে ধরেন গভর্নর।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আগের আলোচনার ধারাবাহিকতায় নতুন করে কথাবার্তা হচ্ছে। আর্থিক খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সঙ্গে আরো সভা হবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, পরবর্তী কিস্তি একসঙ্গে পেতে কোনো বাধা থাকবে না।’
এদিন সকালে আইএমএমের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম বৈঠক করে আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে। এ বৈঠকে তাদেরকে বিনিময়হার বাজারমুখী করা, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক ঋণের সুদহার, বিদেশি মুদ্রার নিট রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ তথ্য অবহিত করা হয়। পরে এসব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। এদিন প্রতিনিধি দলের কিছু সদস্য সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
আর্থিক সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে বেশ কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত মেনে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। পরের বছর প্রথম কিস্তির অর্থও হাতে পায় বাংলাদেশ। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেসময় ওই কিস্তির অর্থ ছাড় হয়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আগের মত আবারও শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের নীতি নির্ধারকসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে আইএমএফ দলের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার সূচি রয়েছে।
সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে পরের বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ।
ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেই সভা না হওয়ায় চতুর্থ কিস্তির ঋণ অনুমোদন বিলম্বিত হচ্ছে।
ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আবার ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে আইএমএফ দলের দফায় দফায় বৈঠক হবে।
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বিদেশি মুদ্রার বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারমুখী করতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার সংস্থাটির ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে এই সময় চাওয়ার কথা তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে নেমে না আসা পর্যন্ত বিনিময়হারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাটির পুরো শর্ত বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব করার কথা বলেছেন তিনি। গর্ভনরের আশা আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি অন্তত ৮ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিন সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের সঙ্গে সফরকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে আবারও বিনিময়হার পুরোটাই বাজারমুখী করার তাগাদা এসেছে। আইএমএফ এখনই তা বাজারের উপর ছেড়ে দিতে চায়। তবে মূল্যস্ফীতিসহ বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখনই তা বাজারমুখী করা কেন সম্ভব না সেই পরিস্থিতি তুলে ধরেন গভর্নর।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আগের আলোচনার ধারাবাহিকতায় নতুন করে কথাবার্তা হচ্ছে। আর্থিক খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সঙ্গে আরো সভা হবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, পরবর্তী কিস্তি একসঙ্গে পেতে কোনো বাধা থাকবে না।’
এদিন সকালে আইএমএমের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম বৈঠক করে আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে। এ বৈঠকে তাদেরকে বিনিময়হার বাজারমুখী করা, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক ঋণের সুদহার, বিদেশি মুদ্রার নিট রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ তথ্য অবহিত করা হয়। পরে এসব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। এদিন প্রতিনিধি দলের কিছু সদস্য সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
আর্থিক সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে বেশ কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত মেনে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। পরের বছর প্রথম কিস্তির অর্থও হাতে পায় বাংলাদেশ। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেসময় ওই কিস্তির অর্থ ছাড় হয়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আগের মত আবারও শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের নীতি নির্ধারকসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে আইএমএফ দলের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার সূচি রয়েছে।
সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে পরের বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ।
ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেই সভা না হওয়ায় চতুর্থ কিস্তির ঋণ অনুমোদন বিলম্বিত হচ্ছে।
ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আবার ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে আইএমএফ দলের দফায় দফায় বৈঠক হবে।