বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কমাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, *“এই চিঠির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।”*
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এই ব্যবধান কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশের পণ্যে আগে থেকেই ১৫% শুল্ক ছিল, এখন আরও ৩৭% সম্পূরক শুল্ক যুক্ত হওয়ায় মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫২%। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্য বড় ধাক্কা খেতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, *“আমাদের লক্ষ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। এখন কোন পণ্য দিয়ে এটা কমানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি।”* বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯০টি পণ্যে শুল্কহার শূন্য রেখেছে, এবার আরও ১০০ পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর)-এ পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্য কাঁচা তুলা ও স্ক্র্যাপ লোহার ওপর শুল্ক যথাক্রমে শূন্য ও ১%। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চিঠিতে অশুল্ক বাধা দূর করা, শুল্ক প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং মেধাস্বত্ব সুরক্ষার মতো সংস্কারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে *“অতি পরিবর্তনশীল”* আখ্যায়িত করে বশিরউদ্দিন বলেন, *“যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবেও পরিস্থিতি জটিল। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নেব।”*
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা ও তিন মাস স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, *“আমরা আশাবাদী, ইতিবাচক সমাধান হবে। উভয় পক্ষের জন্যই এটি লাভজনক হবে।”*
এদিকে, সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে মসুর ডাল, চাল, এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতা বাড়ায় এগুলো আগের তুলনায় কম দামে কেনা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কমাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, *“এই চিঠির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।”*
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এই ব্যবধান কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশের পণ্যে আগে থেকেই ১৫% শুল্ক ছিল, এখন আরও ৩৭% সম্পূরক শুল্ক যুক্ত হওয়ায় মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫২%। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্য বড় ধাক্কা খেতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, *“আমাদের লক্ষ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। এখন কোন পণ্য দিয়ে এটা কমানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি।”* বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯০টি পণ্যে শুল্কহার শূন্য রেখেছে, এবার আরও ১০০ পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর)-এ পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্য কাঁচা তুলা ও স্ক্র্যাপ লোহার ওপর শুল্ক যথাক্রমে শূন্য ও ১%। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চিঠিতে অশুল্ক বাধা দূর করা, শুল্ক প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং মেধাস্বত্ব সুরক্ষার মতো সংস্কারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে *“অতি পরিবর্তনশীল”* আখ্যায়িত করে বশিরউদ্দিন বলেন, *“যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবেও পরিস্থিতি জটিল। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নেব।”*
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা ও তিন মাস স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, *“আমরা আশাবাদী, ইতিবাচক সমাধান হবে। উভয় পক্ষের জন্যই এটি লাভজনক হবে।”*
এদিকে, সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে মসুর ডাল, চাল, এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতা বাড়ায় এগুলো আগের তুলনায় কম দামে কেনা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।