alt

অর্থ-বাণিজ্য

পাচারকৃত অর্থের বড় অংশ ছয় মাসের মধ্যেই ফেরত আনা হবে: গভর্নর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পাচারকৃত অর্থের বড় অংশ আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ফেরত আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় একটি অংশ জব্দ করা হবে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি। বিদেশি আইনি সংস্থা বা ফার্মের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে, এ কাজে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেছেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে করতে হবে। কোন দেশে কোথায় কী আছে, এ তথ্য আগে আনতে হবে। সম্পদ জব্দ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

দেশে আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হতো জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হতো। কিন্তু প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮-৯ শতাংশে নেমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে।’ আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন গভর্নর।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, কী পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে? জবাবে গভর্নর বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে বড় শিল্প গ্রুপ ও তাদের পরিবারও রয়েছে। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপের তথ্য। আপাতত ছোট ছোট গ্রুপের পাচারের তথ্য দেখছি না।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট আব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে, তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়েশনে যাওয়ার আগে সব তথ্য নিয়েই যেতে হবে। তা না হলে আমরা ঠকে যাব।’

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক ও রাষ্ট্রীয় কোনো গোয়েন্দা যদি তথ্য প্রমাণ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত, তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। এরই মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো পাবো জুনের শেষে। জুলাই মাসে যে ডেটা পাবো, তখন হয়তো সে চিত্রটা আমরা পাবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছরের দিকে ৫ শতাংশ কিংবা তারও নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবো। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা গেলে ইন্টারেস্ট রেটও আমরা কমিয়ে আনতে পারবো। ইন্টারেস্ট রেট আমরা ১০ শতাংশ রেখেছি।’

মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে পলিসি রেট পজিটিভ রাখতে হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘পৃথিবীর সবদেশেই মূল্যস্ফীতির পলিসি রেট বেশি, অর্থাৎ পজিটিভ। কিন্তু আমাদের দেশে এটা ছিল না। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪, পলিসি রেট ছিল সাড়ে ৮। বিশাল একটা গ্যাপ ছিল। আমি আসার পরে এটাকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ১০ থেকে কমবে। যখন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে আসবে, তখন আমরা ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে আনবো। আমাদের পলিসি এখন সঠিকভাবে কাজ করছে।’

গভর্নর আরও বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিগত সময়ে বিভিন্ন রকমের আন্দোলন সত্ত্বেও রপ্তানি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত ৮-৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি ডাবল ডিজিট গ্রোফ আমরা এখন দেখতে পারছি না। তবে রেমিট্যান্সের অবস্থা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক, ২৬-২৭ শতাংশে রয়েছে। সবমিলিয়ে ম্যাক্রো ইকোনোমিক্সে আমরা একটি স্বস্তির জায়গা চলে আসছি। কোনো ধরনের ক্রাইসিস আছে এবং হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে আছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

ছবি

বাংলাদেশে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ক্যামন ৪০ ও ৪০ প্রো

ছবি

ঈদের পর বাজার মূলধন হারালো ২ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ঈদের ছুটির পর সচল ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা

দেশের প্রায় ৭২ শতাংশ পরিবারে এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে: বিবিএসের জরিপ

ছবি

এফবিসিসিআই সহায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে আলটিমেটাম

ছবি

কারিগরি ত্রুটিতে বন্ধ হওয়া আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ফের চালু

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদের বড় অংশ জব্দ হবে: গভর্নর

ছবি

ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

বিনিয়োগ সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাতে ৪ সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বিজিএমইএ-ইয়াংওয়ান আলোচনা

বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ খুঁজছে পাকিস্তানের এংগ্রো

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডার কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল

আবাসন খাতে অচলাবস্থা থাকলে অর্থনীতির চাকা থমকে যাবে: রিহ্যাব

ছবি

প্রতিশ্রুতি নয়, দীর্ঘমেয়াদি পাইপলাইনে জোর বিডার

ছবি

গত তিন মাসে বিদেশি ঋণ সামান্য কমেছে

ছবি

দেশের রপ্তানিতে সুখবর, তবে পাট হাঁটছে উল্টো পথে

সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি পেল ১৩৩ প্রতিষ্ঠান

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত, ঘুরে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজার

সূচকের সঙ্গে বাড়লো লেনদেন

ব্রোকারেজ হাউজের প্রতারণা, কোটি টাকা হারিয়ে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা

রপ্তানিতে শীর্ষে উঠতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান বিনিয়োগকারীদের

আবারও চাল রপ্তানির অনুমতি, ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন ১৮ হাজার টনের বেশি সুগন্ধি চাল

ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে

চার দফা বাড়ার পর কমেছে স্বর্ণের দাম

বিনিয়োগ সম্মেলনে ওয়ালটন পেলো ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’

মূল্যছাড়-ক্রয়াদেশ স্থগিতের নির্দেশ আসছে ক্রেতাদের থেকে

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়লো

বাংলাদেশের চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারে গতি আনতেই গভর্নরের লন্ডন সফর

যুক্তরাজ্য-সিঙ্গাপুর থেকে আসবে দুই কার্গো এলএনজি

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব: ফরিদা আখতার

এডিবির পূর্বাভাস, মূল্যস্ফীতি বেড়ে হবে ১০.২ শতাংশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে পারে ইইউ, বোরবন হুইস্কি শুল্কমুক্ত

ছবি

ট্রাম্পের শুল্ক, উদ্বেগ জানালো গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন

জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামার পূর্বাভাস

tab

অর্থ-বাণিজ্য

পাচারকৃত অর্থের বড় অংশ ছয় মাসের মধ্যেই ফেরত আনা হবে: গভর্নর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পাচারকৃত অর্থের বড় অংশ আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ফেরত আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় একটি অংশ জব্দ করা হবে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি। বিদেশি আইনি সংস্থা বা ফার্মের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে, এ কাজে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেছেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে করতে হবে। কোন দেশে কোথায় কী আছে, এ তথ্য আগে আনতে হবে। সম্পদ জব্দ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

দেশে আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হতো জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হতো। কিন্তু প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮-৯ শতাংশে নেমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে।’ আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন গভর্নর।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, কী পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে? জবাবে গভর্নর বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে বড় শিল্প গ্রুপ ও তাদের পরিবারও রয়েছে। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপের তথ্য। আপাতত ছোট ছোট গ্রুপের পাচারের তথ্য দেখছি না।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট আব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে, তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়েশনে যাওয়ার আগে সব তথ্য নিয়েই যেতে হবে। তা না হলে আমরা ঠকে যাব।’

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক ও রাষ্ট্রীয় কোনো গোয়েন্দা যদি তথ্য প্রমাণ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত, তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। এরই মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো পাবো জুনের শেষে। জুলাই মাসে যে ডেটা পাবো, তখন হয়তো সে চিত্রটা আমরা পাবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছরের দিকে ৫ শতাংশ কিংবা তারও নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবো। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা গেলে ইন্টারেস্ট রেটও আমরা কমিয়ে আনতে পারবো। ইন্টারেস্ট রেট আমরা ১০ শতাংশ রেখেছি।’

মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে পলিসি রেট পজিটিভ রাখতে হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘পৃথিবীর সবদেশেই মূল্যস্ফীতির পলিসি রেট বেশি, অর্থাৎ পজিটিভ। কিন্তু আমাদের দেশে এটা ছিল না। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪, পলিসি রেট ছিল সাড়ে ৮। বিশাল একটা গ্যাপ ছিল। আমি আসার পরে এটাকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ১০ থেকে কমবে। যখন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে আসবে, তখন আমরা ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে আনবো। আমাদের পলিসি এখন সঠিকভাবে কাজ করছে।’

গভর্নর আরও বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিগত সময়ে বিভিন্ন রকমের আন্দোলন সত্ত্বেও রপ্তানি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত ৮-৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি ডাবল ডিজিট গ্রোফ আমরা এখন দেখতে পারছি না। তবে রেমিট্যান্সের অবস্থা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক, ২৬-২৭ শতাংশে রয়েছে। সবমিলিয়ে ম্যাক্রো ইকোনোমিক্সে আমরা একটি স্বস্তির জায়গা চলে আসছি। কোনো ধরনের ক্রাইসিস আছে এবং হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে আছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

back to top