ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) কারণে আবাসনের পাশাপাশি সংযোগ শিল্পের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘আবাসন খাত ভালো থাকলে সংযোগ শিল্পগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকে। এখন তারাও ভালো নেই। কারণ, বৈষম্যমূলক নতুন ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনশিল্প সমস্যায় আছে।’
মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘নির্মাণ উপকরণের সবচেয়ে বড় উপাদান রড। কিন্তু রডের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। একইভাবে চাহিদা কমেছে সিমেন্ট, ইটসহ অন্যান্য উপকরণের।
চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। অনেক লোকবল ছাঁটাই হয়েছে। ভবিষ্যতে অনেক প্রতিষ্ঠান সেই দিকে হাঁটবে।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ নিয়ে জমির মালিক, আবাসন ব্যবসায়ী ও সংযোগ শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই অবসান ও সংযোগ শিল্পের স্থবিরতা থেকে অতি দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে হবে। সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।’
রিহ্যাব ও আবাসন খাতের সহযোগী শিল্পের বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, রিহাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘ড্যাপে ফার (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) সমস্যার কারণে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন একেবারে কমে গেছে। ২০২২ সালে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর জমির মালিকেরা ডেভেলপ করার জন্য আবাসন কোম্পানিকে জমি দিচ্ছেন না। এ কারণে নতুন আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। এতে সংযোগ শিল্পগুলোর পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘দিল্লিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৬২ জন মানুষ বসবাস করে। তারপরও তাদের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফার বেশি। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১১৯ জন। ফলে আমাদের কম জায়গায় বেশি ফার প্রয়োজন।’
আবাসনশিল্পের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে রড, সিমেন্ট, ইট, টাইলস, কেব্?ল, রং, লিফট, থাই, স্যানিটারিসহ প্রায় ২০০ সংযোগ শিল্প- এসব খাত অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে।
এসব শিল্পে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান রিহ্যাব সভাপতি।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) কারণে আবাসনের পাশাপাশি সংযোগ শিল্পের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘আবাসন খাত ভালো থাকলে সংযোগ শিল্পগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকে। এখন তারাও ভালো নেই। কারণ, বৈষম্যমূলক নতুন ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনশিল্প সমস্যায় আছে।’
মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘নির্মাণ উপকরণের সবচেয়ে বড় উপাদান রড। কিন্তু রডের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। একইভাবে চাহিদা কমেছে সিমেন্ট, ইটসহ অন্যান্য উপকরণের।
চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। অনেক লোকবল ছাঁটাই হয়েছে। ভবিষ্যতে অনেক প্রতিষ্ঠান সেই দিকে হাঁটবে।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ নিয়ে জমির মালিক, আবাসন ব্যবসায়ী ও সংযোগ শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই অবসান ও সংযোগ শিল্পের স্থবিরতা থেকে অতি দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে হবে। সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।’
রিহ্যাব ও আবাসন খাতের সহযোগী শিল্পের বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, রিহাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘ড্যাপে ফার (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) সমস্যার কারণে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন একেবারে কমে গেছে। ২০২২ সালে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর জমির মালিকেরা ডেভেলপ করার জন্য আবাসন কোম্পানিকে জমি দিচ্ছেন না। এ কারণে নতুন আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। এতে সংযোগ শিল্পগুলোর পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘দিল্লিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৬২ জন মানুষ বসবাস করে। তারপরও তাদের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফার বেশি। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১১৯ জন। ফলে আমাদের কম জায়গায় বেশি ফার প্রয়োজন।’
আবাসনশিল্পের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে রড, সিমেন্ট, ইট, টাইলস, কেব্?ল, রং, লিফট, থাই, স্যানিটারিসহ প্রায় ২০০ সংযোগ শিল্প- এসব খাত অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে।
এসব শিল্পে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান রিহ্যাব সভাপতি।