সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে চার কার্যদিবসে ঢালাও দরপতনের হয়েছে। এতে গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ঢালাও দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকার ওপরে। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৪টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা দশমিক ১৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এতে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন সপ্তাহের টানা পতনে বাজার মূলধন কমলো ১০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১২৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২৩৫ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে ডিএসই শরিয়াহ ও ডিএসই-৩০ সূচকের। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩৯ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-শাহজি বাজার পাওয়ার, শাইন পুকুর সিরামিক, ফাইন ফুড, এসিআই, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক এবং লাভেলো আইসক্রিম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতেলেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। এ সপ্তাহে বিচ হ্যাচারি শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে। দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর কমেছে ২৪ শতাংশ। আর ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ারদর পতনে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছে খুলনা পেপার।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক, ইবিএল, এডিএন টেলিকম, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, আমরা নেটোয়ার্ক এবং খান ব্রাদার্স।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে শাহাজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে শাজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এনার্জিপ্যাকের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করছে এসইএমএল লেকচার ফান্ড।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সেনা ইন্স্যুরেন্স, ডরিন পাওয়ার, অলটেক্স, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, ফাইন ফুডস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে চার কার্যদিবসে ঢালাও দরপতনের হয়েছে। এতে গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ঢালাও দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকার ওপরে। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৪টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা দশমিক ১৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এতে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন সপ্তাহের টানা পতনে বাজার মূলধন কমলো ১০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১২৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২৩৫ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে ডিএসই শরিয়াহ ও ডিএসই-৩০ সূচকের। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩৯ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-শাহজি বাজার পাওয়ার, শাইন পুকুর সিরামিক, ফাইন ফুড, এসিআই, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক এবং লাভেলো আইসক্রিম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতেলেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। এ সপ্তাহে বিচ হ্যাচারি শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে। দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর কমেছে ২৪ শতাংশ। আর ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ারদর পতনে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছে খুলনা পেপার।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক, ইবিএল, এডিএন টেলিকম, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, আমরা নেটোয়ার্ক এবং খান ব্রাদার্স।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে শাহাজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে শাজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এনার্জিপ্যাকের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করছে এসইএমএল লেকচার ফান্ড।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সেনা ইন্স্যুরেন্স, ডরিন পাওয়ার, অলটেক্স, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, ফাইন ফুডস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।