চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। সোমবার তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আসবে।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।’
এ ছাড়া ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। সেখানে বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সেটআপ তৈরি হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য, যেখানে মেটা ও গুগলের পেলোড আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
টেনসেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় চীনের শেনজেনে। নিজেদের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে পরিচয় দিয়ে টেনসেন্ট জানিয়েছে, তারা জনপ্রিয় ভিডিও গেমসহ অন্যান্য উচ্চমানের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্ব গেমশিল্পের বাজার ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সমন্বিতভাবে সংগীত ও সিনেমাশিল্পের থেকেও বেশি। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও গেমশিল্পে বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই শিল্পের বিকাশ ডিজিটাল অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশের গেমশিল্প ও ডিজিটাল খাতে কাজ করতে আগ্রহী টেনসেন্ট।
২০২১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের গেমশিল্প নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের মতে, বাজারের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪২৮ কোটি টাকা হতে পারে।
টেনসেন্ট ক্লাউড কম্পিউটিং, বিজ্ঞাপন, ফিনটেকসহ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ সেবা দিয়ে থাকে। চীনের জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটের মালিক প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও কাজ করে। ২০০৪ সাল থেকে টেনসেন্ট হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। ফরচুন সাময়িকীর ২০২৪ সালের ‘ফরচুন গ্লোবাল ৫০০’ তালিকায় কোম্পানিটির অবস্থান ছিল ১৪১তম।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। সোমবার তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আসবে।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।’
এ ছাড়া ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। সেখানে বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সেটআপ তৈরি হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য, যেখানে মেটা ও গুগলের পেলোড আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
টেনসেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় চীনের শেনজেনে। নিজেদের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে পরিচয় দিয়ে টেনসেন্ট জানিয়েছে, তারা জনপ্রিয় ভিডিও গেমসহ অন্যান্য উচ্চমানের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্ব গেমশিল্পের বাজার ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সমন্বিতভাবে সংগীত ও সিনেমাশিল্পের থেকেও বেশি। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও গেমশিল্পে বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই শিল্পের বিকাশ ডিজিটাল অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশের গেমশিল্প ও ডিজিটাল খাতে কাজ করতে আগ্রহী টেনসেন্ট।
২০২১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের গেমশিল্প নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের মতে, বাজারের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪২৮ কোটি টাকা হতে পারে।
টেনসেন্ট ক্লাউড কম্পিউটিং, বিজ্ঞাপন, ফিনটেকসহ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ সেবা দিয়ে থাকে। চীনের জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটের মালিক প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও কাজ করে। ২০০৪ সাল থেকে টেনসেন্ট হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। ফরচুন সাময়িকীর ২০২৪ সালের ‘ফরচুন গ্লোবাল ৫০০’ তালিকায় কোম্পানিটির অবস্থান ছিল ১৪১তম।