আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আজ (৫ মে) বাংলাদেশ ও আইএমএফের মধ্যে আরেক দফা ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৈঠকে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান। এটি হতে পারে চূড়ান্ত আলোচনার শেষ ধাপ। আলোচনা সফল হলে আগামী জুনেই ঋণের দুই কিস্তি একসঙ্গে পেতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে আইএমএফের প্রতিনিধি দল তাদের সর্বশেষ পর্যালোচনা সফর শেষ করলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে জানিয়েছে, আলোচনা চলবে। তারা বলেছে, ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে।
সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ফিরে এসে সালেহউদ্দিন বলেন, “আইএমএফের কিছু শর্ত আমরা মানতে চাই না। তবে আলোচনা চলছে। আইএমএফ ছাড়া চলা সম্ভব বলেই আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
নতুন দুটি কিস্তি ছাড়ে আইএমএফের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে রয়েছে—মুদ্রানীতি আরও কড়াকড়ি করা, বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী করা, নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর ছাড় বন্ধ করে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা।
এছাড়া, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি হ্রাস ও সঞ্চয়পত্রে সুদ ভর্তুকি যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিষয়েও আইএমএফের সুস্পষ্ট চাপ রয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় না হওয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তবে এবার তা কাটানোর চেষ্টায় বসছে দুই পক্ষ।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আজ (৫ মে) বাংলাদেশ ও আইএমএফের মধ্যে আরেক দফা ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৈঠকে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান। এটি হতে পারে চূড়ান্ত আলোচনার শেষ ধাপ। আলোচনা সফল হলে আগামী জুনেই ঋণের দুই কিস্তি একসঙ্গে পেতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে আইএমএফের প্রতিনিধি দল তাদের সর্বশেষ পর্যালোচনা সফর শেষ করলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে জানিয়েছে, আলোচনা চলবে। তারা বলেছে, ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে।
সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ফিরে এসে সালেহউদ্দিন বলেন, “আইএমএফের কিছু শর্ত আমরা মানতে চাই না। তবে আলোচনা চলছে। আইএমএফ ছাড়া চলা সম্ভব বলেই আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
নতুন দুটি কিস্তি ছাড়ে আইএমএফের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে রয়েছে—মুদ্রানীতি আরও কড়াকড়ি করা, বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী করা, নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর ছাড় বন্ধ করে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা।
এছাড়া, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি হ্রাস ও সঞ্চয়পত্রে সুদ ভর্তুকি যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিষয়েও আইএমএফের সুস্পষ্ট চাপ রয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় না হওয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তবে এবার তা কাটানোর চেষ্টায় বসছে দুই পক্ষ।