রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি সমন্বিত পদোন্নতি নীতিমালা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে—সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)। এসব ব্যাংকের জন্য অভিন্ন নীতিমালাটি তৈরি করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ব্যাংকগুলোর অফিসার বা সমমানের পদ থেকে শুরু করে সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ও উপমহাব্যবস্থাপকদের (ডিজিএম) জন্য প্রযোজ্য হবে প্রস্তাবিত এই নীতিমালা।
জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এরই মধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। এই বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২৫) সচিবালয়ে এ নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) অংশ নেন।
প্রস্তাবিত নীতিমালা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার মূল্যায়নের সুযোগ রাখা হয়নি। এমনকি তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে চাকরির বয়সকালও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে জুনিয়র কর্মকর্তাদের বেশি পদোন্নতি পাওয়া সম্ভাবনা থাকবে। এতে পুরো ব্যাংকের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সবার মতামত নেওয়ার জন্যই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তবে বৈঠকেই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে না।
এদিকে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা বাতিল হয়ে যাবে। যদিও বাতিল হওয়া নীতিমালার অধীনে যেসব ব্যবস্থা চলমান রয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে বাতিল হওয়া নীতিমালার বিধান অনুযায়ীই। নতুন নীতিমালার কিছু বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে, তার ব্যাখ্যা দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
পদোন্নতির জন্য মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮ নম্বর থাকবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৪। বাকি ৯২ নম্বরের মধ্যে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে কমপক্ষে ৭৫ পেতে হবে। উভয় নম্বর যোগ করে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা। দেশের বাইরে থাকা কর্মীদের ভার্চ্যুয়াল বা সশরীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
নীতিমালা প্রণয়নে জড়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নীতিমালার একটা খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে। কারও প্রতি বৈষম্য করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দেখা যাক, বৈঠক থেকে কী পরামর্শ উঠে আসে। আগে পরামর্শ ভালোভাবে না নেওয়ার কারণে কিছু নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, পদোন্নতি বিবেচনা করা হবে চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধা, কর্মদক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সততা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কোনো কর্মচারী তাঁর অধিকার হিসেবে পদোন্নতি বা পদায়ন দাবি করতে পারবেন না। কোনো কর্মচারীর ফিডার পদে সর্বশেষ তিন বছরের যেকোনো বছরের চাকরি সন্তোষজনক না হলে, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) বিরূপ মন্তব্য থাকলে পরের পদের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ও দণ্ডকাল বহাল থাকলে এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে বা দণ্ড পেলে তাঁকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
লঘুদণ্ডর ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের এক বছর পর্যন্ত পদোন্নতির জন্য কেউ বিবেচিত হবেন না। গুরুদণ্ডের ক্ষেত্রে তা হবে দুই বছর। এ ছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কারও বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে বা কেউ গ্রেপ্তার হলে মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত পদোন্নতি হবে না। তবে পদোন্নতির প্যানেলে নাম ওঠার পর কেউ অভিযুক্ত হলে এবং শাস্তি ছাড়া অব্যাহতি পেলে তিনি শূন্য পদ সাপেক্ষে পদোন্নতি পাবেন।
পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বরের মধ্যে এসিআরের পাঁচ বছরের গড় নম্বর ৪৫। এ ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ১৫, ফিডার পদে চাকরিকাল ১৪, ফিডার পদে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা ৪, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা (ব্যাংকিং ডিপ্লোমা) ১০, আইসিএবি বা আইসিএমএবি থেকে পাওয়া পেশাগত যোগ্যতা ১, দুর্গম এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা ১, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ফিডার পদে কাজের অর্জন ২ এবং সাক্ষাৎকার ৮ নম্বর।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিদ্যমান নীতিমালায় স্নাতকোত্তর পাসের জন্য নম্বর দেওয়া আছে ১৪। কোন শ্রেণিতে পাস করার জন্য কত নম্বর, তা উল্লেখ করা নেই। প্রস্তাবিত নীতিমালায় ১৫ নম্বর বরাদ্দ করে পাসের শ্রেণিওয়ারি আলাদা নম্বরের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণির জন্য ৪, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৩ ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য ২ নম্বর রাখা হয়েছে। স্নাতক (ডিগ্রি) বা সমমান, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও এভাবে নম্বর ভাগ করা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকাররা মনে করেন, যারা পুরোনো পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে এসেছেন তাদের তুলনায় সিজিপিএ পদ্ধতিতে পাস করে আসা ব্যাংকাররা চার ধাপের ফলাফলে অন্তত ৪ নম্বরে এগিয়ে থাকবেন, যা একটি বৈষম্য। এ ছাড়া শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা ব্যাংকারদের জন্য এত দিন ১ নম্বর বরাদ্দ ছিল।
এটি বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ২। শাখার সংখ্যা সীমিত থাকার কারণে শাখা ব্যবস্থাপক হতে চাইলেও সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। এখানেও বৈষম্য সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। নতুন নীতিমালার বিষয়ে কথা বলার জন্য দুটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি সমন্বিত পদোন্নতি নীতিমালা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে—সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)। এসব ব্যাংকের জন্য অভিন্ন নীতিমালাটি তৈরি করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ব্যাংকগুলোর অফিসার বা সমমানের পদ থেকে শুরু করে সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ও উপমহাব্যবস্থাপকদের (ডিজিএম) জন্য প্রযোজ্য হবে প্রস্তাবিত এই নীতিমালা।
জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এরই মধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। এই বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২৫) সচিবালয়ে এ নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) অংশ নেন।
প্রস্তাবিত নীতিমালা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার মূল্যায়নের সুযোগ রাখা হয়নি। এমনকি তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে চাকরির বয়সকালও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে জুনিয়র কর্মকর্তাদের বেশি পদোন্নতি পাওয়া সম্ভাবনা থাকবে। এতে পুরো ব্যাংকের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সবার মতামত নেওয়ার জন্যই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তবে বৈঠকেই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে না।
এদিকে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা বাতিল হয়ে যাবে। যদিও বাতিল হওয়া নীতিমালার অধীনে যেসব ব্যবস্থা চলমান রয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে বাতিল হওয়া নীতিমালার বিধান অনুযায়ীই। নতুন নীতিমালার কিছু বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে, তার ব্যাখ্যা দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
পদোন্নতির জন্য মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮ নম্বর থাকবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৪। বাকি ৯২ নম্বরের মধ্যে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে কমপক্ষে ৭৫ পেতে হবে। উভয় নম্বর যোগ করে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা। দেশের বাইরে থাকা কর্মীদের ভার্চ্যুয়াল বা সশরীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
নীতিমালা প্রণয়নে জড়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নীতিমালার একটা খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে। কারও প্রতি বৈষম্য করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দেখা যাক, বৈঠক থেকে কী পরামর্শ উঠে আসে। আগে পরামর্শ ভালোভাবে না নেওয়ার কারণে কিছু নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, পদোন্নতি বিবেচনা করা হবে চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধা, কর্মদক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সততা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কোনো কর্মচারী তাঁর অধিকার হিসেবে পদোন্নতি বা পদায়ন দাবি করতে পারবেন না। কোনো কর্মচারীর ফিডার পদে সর্বশেষ তিন বছরের যেকোনো বছরের চাকরি সন্তোষজনক না হলে, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) বিরূপ মন্তব্য থাকলে পরের পদের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, বিভাগীয় মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে ও দণ্ডকাল বহাল থাকলে এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে বা দণ্ড পেলে তাঁকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
লঘুদণ্ডর ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের এক বছর পর্যন্ত পদোন্নতির জন্য কেউ বিবেচিত হবেন না। গুরুদণ্ডের ক্ষেত্রে তা হবে দুই বছর। এ ছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কারও বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে বা কেউ গ্রেপ্তার হলে মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত পদোন্নতি হবে না। তবে পদোন্নতির প্যানেলে নাম ওঠার পর কেউ অভিযুক্ত হলে এবং শাস্তি ছাড়া অব্যাহতি পেলে তিনি শূন্য পদ সাপেক্ষে পদোন্নতি পাবেন।
পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বরের মধ্যে এসিআরের পাঁচ বছরের গড় নম্বর ৪৫। এ ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ১৫, ফিডার পদে চাকরিকাল ১৪, ফিডার পদে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা ৪, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা (ব্যাংকিং ডিপ্লোমা) ১০, আইসিএবি বা আইসিএমএবি থেকে পাওয়া পেশাগত যোগ্যতা ১, দুর্গম এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা ১, শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ফিডার পদে কাজের অর্জন ২ এবং সাক্ষাৎকার ৮ নম্বর।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিদ্যমান নীতিমালায় স্নাতকোত্তর পাসের জন্য নম্বর দেওয়া আছে ১৪। কোন শ্রেণিতে পাস করার জন্য কত নম্বর, তা উল্লেখ করা নেই। প্রস্তাবিত নীতিমালায় ১৫ নম্বর বরাদ্দ করে পাসের শ্রেণিওয়ারি আলাদা নম্বরের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণির জন্য ৪, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৩ ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য ২ নম্বর রাখা হয়েছে। স্নাতক (ডিগ্রি) বা সমমান, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও এভাবে নম্বর ভাগ করা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকাররা মনে করেন, যারা পুরোনো পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে এসেছেন তাদের তুলনায় সিজিপিএ পদ্ধতিতে পাস করে আসা ব্যাংকাররা চার ধাপের ফলাফলে অন্তত ৪ নম্বরে এগিয়ে থাকবেন, যা একটি বৈষম্য। এ ছাড়া শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা ব্যাংকারদের জন্য এত দিন ১ নম্বর বরাদ্দ ছিল।
এটি বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ২। শাখার সংখ্যা সীমিত থাকার কারণে শাখা ব্যবস্থাপক হতে চাইলেও সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। এখানেও বৈষম্য সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। নতুন নীতিমালার বিষয়ে কথা বলার জন্য দুটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।