আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। সভায় পরিকল্পনা সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের অন্য সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এডিপির চূড়ান্ত খসড়া আগামীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। নতুন উন্নয়ন বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, গত অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। ফলে তারা ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ পাচ্ছে ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় মাত্র ৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপির থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছর থেকে ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এলজিডিকে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়কে।
তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। সভায় পরিকল্পনা সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের অন্য সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এডিপির চূড়ান্ত খসড়া আগামীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। নতুন উন্নয়ন বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, গত অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। ফলে তারা ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ পাচ্ছে ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় মাত্র ৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপির থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছর থেকে ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এলজিডিকে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়কে।
তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।