alt

অর্থ-বাণিজ্য

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

সংবাদ অর্থনৈতিক ডেস্ক : বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ভার্চুয়াল বৈঠক। গতকাল মঙ্গলবারও বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান ছিল-এই মুহূর্তে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের এ অবস্থানের ভিত্তিতে সংস্থাটি নিজেদের মধ্যে আবার আলোচনা করবে। এর পর আগামী ১৯ মে উভয় পক্ষের মধ্যে আরেকটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডলারের দর বর্তমানে আইএমএফের পরামর্শেই ‘ক্রলিং পেগ’ নামে একটি পদ্ধতির আওতায় নির্ধারিত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে একটি সীমার মধ্যে ডলারের দর ওঠানামা করে। এক বছর আগে এ পদ্ধতি চালু হয়। আইএমএফ চেয়েছিল, বাংলাদেশ এক পর্যায়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দিক। জানা গেছে, পুরোপুরি বাজারভিত্তিক এই মুহূর্তে না করেও ক্রলিং পেগের মধ্যেই ওঠানামার সীমা বাড়ানোরও বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বর্তমান পদ্ধতিতে মধ্যবর্তী রেট এখন ১১৯ টাকা। এর চেয়ে আড়াই শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারবে। সেই হিসাবে ডলারের দর এখন সর্বোচ্চ ১২২ টাকা হওয়ার কথা। কয়েক মাস ধরে ১২২ টাকায় রয়েছে। প্রকৃত দর ওঠানামা না করায় আইএমএফ মনে করছে, পদ্ধতিটা স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। এর ফলে বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় হচ্ছে না, যা পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের দিক থেকে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৈঠকে অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও কবির আহমেদ যুক্ত ছিলেন। গত সোমবারও একই ইস্যুতে দু’পক্ষের বৈঠক হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। আবার আলোচনার পথও বন্ধ হয়ে যায়নি। সমঝোতার বিষয়ে আরও বৈঠক হবে। আইএমএফকে জানানো হয়েছে এবং বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন নয়। বৈঠকে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির বাইরে আইএমএফের কাছে ১০০ কোটি ডলারের একটি স্থিতিশীলতা তহবিল (স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হলে ওই তহবিল কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে বলা হয়, বর্তমান ডলারের দর বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ কারণে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের সঙ্গে খোলাবাজারের দরের তেমন পার্থক্য নেই। বৈধ পথে রেমিট্যান্স গত ৯ মাসে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। ডলারের দর দীর্ঘদিন ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকার পরও এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ মুহূর্তে নমনীয়তা দেখালেই ডলারের দর বাড়তে পারে। তখন কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে যাবে। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে শর্তের অগ্রগতি যাচাইয়ে গত মাসে একটি মিশন ঢাকা সফর করে। তবে কোনো সমঝোতা ছাড়াই তারা ঢাকা ছাড়ে। তখনও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ইস্যুতেই সমঝোতা হয়নি।

এর পর আলোচনা গড়ায় ওয়াশিংটনে। গত মাসের শেষ দিকে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের ফাঁকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাইড লাইনে আলাদা বৈঠক হয়। কিন্তু ঢাকা বা ওয়াশিংটন– কোথাও আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি থেকে পরবর্তী দুই কিস্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দু’পক্ষ।

সরকারের দিক থেকে ঋণ কর্মসূচিটি চলমান রাখার চেষ্টা আছে বলে জানা গেছে। যদিও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যার সার কথা হচ্ছে, কঠিন শর্ত বজায় থাকলে বাংলাদেশ এ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তিতে পাওয়ার কথা ১৩০ কোটি ডলার।

নিয়ম অনুযায়ী, কিস্তি পাওয়ার আগে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনের দরকার পড়ে। চতুর্থ কিস্তি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পর পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা পিছিয়ে দেয় আইএমএফ। তখন অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির পর্ষদ বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়েছে। কিস্তি পেতে তাই দেরি হবে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক পিছিয়ে যায় ১২ মার্চ। ওই তারিখেও বাংলাদেশের কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব ওঠেনি।

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

সপ্তাহজুড়ে মূলধন কমলো আরও ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা

টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ ইউনিট গঠনের পরিকল্পনা

ছবি

এপ্রিলে ১৭ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার

আইএমএফ বেশি শর্ত দিলে ঋণ থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ: আনিসুজ্জামান

ছবি

যারা রিটার্ন দেন না, তাদের নজরদারিতে আনছে এনবিআর

ছবি

এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স, বেড়েছে ৩৪.৮০ শতাংশ

ছবি

কর ফাঁকি রোধে ‘নন-ফাইলার’ ও ‘রিবেটার’ ধরতে কর কর্মকর্তাদের টার্গেট দেবে এনবিআর

ছবি

কর ফাঁকি রোধে ‘নন-ফাইলার’ ও ‘রিবেটার’ ধরতে কর কর্মকর্তাদের টার্গেট দেবে এনবিআর

বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ

বাজেটে করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

সংবাদ অর্থনৈতিক ডেস্ক

বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ভার্চুয়াল বৈঠক। গতকাল মঙ্গলবারও বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান ছিল-এই মুহূর্তে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের এ অবস্থানের ভিত্তিতে সংস্থাটি নিজেদের মধ্যে আবার আলোচনা করবে। এর পর আগামী ১৯ মে উভয় পক্ষের মধ্যে আরেকটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডলারের দর বর্তমানে আইএমএফের পরামর্শেই ‘ক্রলিং পেগ’ নামে একটি পদ্ধতির আওতায় নির্ধারিত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে একটি সীমার মধ্যে ডলারের দর ওঠানামা করে। এক বছর আগে এ পদ্ধতি চালু হয়। আইএমএফ চেয়েছিল, বাংলাদেশ এক পর্যায়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দিক। জানা গেছে, পুরোপুরি বাজারভিত্তিক এই মুহূর্তে না করেও ক্রলিং পেগের মধ্যেই ওঠানামার সীমা বাড়ানোরও বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বর্তমান পদ্ধতিতে মধ্যবর্তী রেট এখন ১১৯ টাকা। এর চেয়ে আড়াই শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারবে। সেই হিসাবে ডলারের দর এখন সর্বোচ্চ ১২২ টাকা হওয়ার কথা। কয়েক মাস ধরে ১২২ টাকায় রয়েছে। প্রকৃত দর ওঠানামা না করায় আইএমএফ মনে করছে, পদ্ধতিটা স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। এর ফলে বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় হচ্ছে না, যা পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের দিক থেকে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৈঠকে অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও কবির আহমেদ যুক্ত ছিলেন। গত সোমবারও একই ইস্যুতে দু’পক্ষের বৈঠক হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। আবার আলোচনার পথও বন্ধ হয়ে যায়নি। সমঝোতার বিষয়ে আরও বৈঠক হবে। আইএমএফকে জানানো হয়েছে এবং বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন নয়। বৈঠকে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির বাইরে আইএমএফের কাছে ১০০ কোটি ডলারের একটি স্থিতিশীলতা তহবিল (স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হলে ওই তহবিল কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে বলা হয়, বর্তমান ডলারের দর বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ কারণে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের সঙ্গে খোলাবাজারের দরের তেমন পার্থক্য নেই। বৈধ পথে রেমিট্যান্স গত ৯ মাসে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। ডলারের দর দীর্ঘদিন ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকার পরও এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ মুহূর্তে নমনীয়তা দেখালেই ডলারের দর বাড়তে পারে। তখন কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে যাবে। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে শর্তের অগ্রগতি যাচাইয়ে গত মাসে একটি মিশন ঢাকা সফর করে। তবে কোনো সমঝোতা ছাড়াই তারা ঢাকা ছাড়ে। তখনও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ইস্যুতেই সমঝোতা হয়নি।

এর পর আলোচনা গড়ায় ওয়াশিংটনে। গত মাসের শেষ দিকে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের ফাঁকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাইড লাইনে আলাদা বৈঠক হয়। কিন্তু ঢাকা বা ওয়াশিংটন– কোথাও আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি থেকে পরবর্তী দুই কিস্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দু’পক্ষ।

সরকারের দিক থেকে ঋণ কর্মসূচিটি চলমান রাখার চেষ্টা আছে বলে জানা গেছে। যদিও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যার সার কথা হচ্ছে, কঠিন শর্ত বজায় থাকলে বাংলাদেশ এ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তিতে পাওয়ার কথা ১৩০ কোটি ডলার।

নিয়ম অনুযায়ী, কিস্তি পাওয়ার আগে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনের দরকার পড়ে। চতুর্থ কিস্তি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পর পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা পিছিয়ে দেয় আইএমএফ। তখন অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির পর্ষদ বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়েছে। কিস্তি পেতে তাই দেরি হবে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক পিছিয়ে যায় ১২ মার্চ। ওই তারিখেও বাংলাদেশের কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব ওঠেনি।

back to top