alt

অর্থ-বাণিজ্য

শেয়ারবাজারে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ যোগ দেওয়ার পর শেয়ারবাজারের ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। এ জন্য দ্রুত বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের প্রতি অনাস্থা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট সূচক হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ পয়েন্ট। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব কথা বলেন বিসিএমআইএ’র নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠাটির পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

বিসিএমআইএ সভাপাতি বলেন, ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ এর লক্ষ্যে রোববার (১১ মে) অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেয়ারবাজার বুঝে এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন কাউকে রাখা হয়নি। যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক, বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিসহ এসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। অথচ এরাই শেয়ারবাজারের বিদ্যমান সমস্যার কারণ বুঝে। বিপরীতে যাদের নিয়ে অভিযোগ, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বৈঠকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন না প্রধান উপদেষ্টার কাছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত পতন। এর কারণ মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতা। তাই এই কমিশন অপসারণ করতে হবে। একজন দক্ষ, যোগ্য ও পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি-কে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’

বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর শেয়ারবাজারের একটি চিত্র তুলে ধরেন বিনিয়োগকারীদের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর মার্কেট ক্যাপিটেল হারিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট সূচক হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ পয়েন্ট। ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের প্রতি অনাস্থা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। ৯৫ শতাংশ বিনিয়োগকারী তার অপসারণ চাচ্ছেন। মার্কেট আরএসআই ১১ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বনিম্ন এবং বিশ্ব রেকর্ডও বটে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্লিনিক্যালি ডেড হয়ে গেছে।’

এই বিনিয়োগকারী নেতা বলেন, ‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই এরইমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পুঁজিবাজার নিয়ে কোন ধারণা নেই বাস্তব অভিজ্ঞতাও নেই। এমনকি পুঁজিবাজারের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের কোন সদিচ্ছা নেই। একটি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বের যোগ্যতা ও গুণাবলি থাকা প্রয়োজন যার কিছুই নেই তার মধ্যে।’

তিনি বলেন, ‘কমিশনের ওপরে আস্থার সংকটের কারণে গত ৮ মাসেও মৌলভিত্তিক কোন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার জন্য কোন আগ্রহ দেখায়নি। এতে শেয়ারবাজার নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। বিধিতে না থাকা সত্বেও নিজেদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, যার মধ্যে আপ্যায়ন বাবদ প্রতিমাসে চেয়ারম্যান ৩ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কমিশনারের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে চেয়ারম্যান প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং কমিশনাররা ১৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন এবংসরকারি নিয়ম অনুযায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি সভার সম্মানিত ভাতা বাবদ, ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা প্রধানের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তারা প্রতি মাসে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেখে বহিঃসদস্যদের প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণরূপে পুঁজিবাজার স্বার্থ বিরোধী এবং বেআইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিধির বিভিন্ন শর্ত ও যোগ্যতা শিথিল করে নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সিকিউরিটিজ আইন বহির্ভূতভাবে বিনিয়োগকারীদের সিসিএ অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ প্রদান থেকে বিনিয়োগকারীদেরকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি।’

এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা পুঁজিবাজারে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বহু সংখ্যক কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছেন। যার মাধ্যমে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারীদেরকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ অনিবার্য এবং অতি জরুরি।’

ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির সময় বাড়ল ৩১ মে পর্যন্ত

নতুন নীতিমালা, ব্যাংক পরিচালকদের বেনামি ঋণও হিসাবে আসবে

ছবি

পরপর পাঁচ সপ্তাহ পতনে বাজার মূলধন কমলো ২১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

মার্চে বেসরকারি ঋণে সুবাতাস

ছবি

কর অব্যাহতির ক্ষমতা এনবিআরের থাকছে না

দশ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করার দাবি বারভিডার

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করল দুবাই চেম্বার

ছবি

১৭ ও ২৪ মে, দুই শনিবার ব্যাংক খোলা থাকবে

সঞ্চয়পত্র কেনায় রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

tab

অর্থ-বাণিজ্য

শেয়ারবাজারে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ যোগ দেওয়ার পর শেয়ারবাজারের ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। এ জন্য দ্রুত বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের প্রতি অনাস্থা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট সূচক হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ পয়েন্ট। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব কথা বলেন বিসিএমআইএ’র নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠাটির পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

বিসিএমআইএ সভাপাতি বলেন, ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ এর লক্ষ্যে রোববার (১১ মে) অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেয়ারবাজার বুঝে এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন কাউকে রাখা হয়নি। যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক, বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিসহ এসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। অথচ এরাই শেয়ারবাজারের বিদ্যমান সমস্যার কারণ বুঝে। বিপরীতে যাদের নিয়ে অভিযোগ, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বৈঠকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন না প্রধান উপদেষ্টার কাছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত পতন। এর কারণ মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতা। তাই এই কমিশন অপসারণ করতে হবে। একজন দক্ষ, যোগ্য ও পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি-কে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’

বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর শেয়ারবাজারের একটি চিত্র তুলে ধরেন বিনিয়োগকারীদের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর মার্কেট ক্যাপিটেল হারিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট সূচক হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ পয়েন্ট। ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের প্রতি অনাস্থা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। ৯৫ শতাংশ বিনিয়োগকারী তার অপসারণ চাচ্ছেন। মার্কেট আরএসআই ১১ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বনিম্ন এবং বিশ্ব রেকর্ডও বটে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্লিনিক্যালি ডেড হয়ে গেছে।’

এই বিনিয়োগকারী নেতা বলেন, ‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই এরইমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পুঁজিবাজার নিয়ে কোন ধারণা নেই বাস্তব অভিজ্ঞতাও নেই। এমনকি পুঁজিবাজারের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের কোন সদিচ্ছা নেই। একটি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বের যোগ্যতা ও গুণাবলি থাকা প্রয়োজন যার কিছুই নেই তার মধ্যে।’

তিনি বলেন, ‘কমিশনের ওপরে আস্থার সংকটের কারণে গত ৮ মাসেও মৌলভিত্তিক কোন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার জন্য কোন আগ্রহ দেখায়নি। এতে শেয়ারবাজার নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। বিধিতে না থাকা সত্বেও নিজেদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, যার মধ্যে আপ্যায়ন বাবদ প্রতিমাসে চেয়ারম্যান ৩ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কমিশনারের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে চেয়ারম্যান প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং কমিশনাররা ১৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন এবংসরকারি নিয়ম অনুযায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি সভার সম্মানিত ভাতা বাবদ, ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা প্রধানের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তারা প্রতি মাসে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেখে বহিঃসদস্যদের প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণরূপে পুঁজিবাজার স্বার্থ বিরোধী এবং বেআইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিধির বিভিন্ন শর্ত ও যোগ্যতা শিথিল করে নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সিকিউরিটিজ আইন বহির্ভূতভাবে বিনিয়োগকারীদের সিসিএ অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ প্রদান থেকে বিনিয়োগকারীদেরকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি।’

এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা পুঁজিবাজারে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বহু সংখ্যক কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছেন। যার মাধ্যমে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারীদেরকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ অনিবার্য এবং অতি জরুরি।’

back to top