আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আইএমএফের কিস্তিসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার জুনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
আটকে থাকা কিস্তির অর্থ ছাড়ে নানা শর্ত নিয়ে আলোচনা শেষে সম্প্রতি আইএমএফ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে কিছুটা ছাড় দিতে সম্মত হয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, “ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে দেওয়ার সময় হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমানে ডলারের যা দর রয়েছে, তার থেকে খুব বেশি তারতম্য ঘটবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক মাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ডলার বাজার স্থিতিশীল ছিল। আগামীতেও আশা করছি ডলার বাজারে ইন্টারভেন করার দরকার হবে না।”
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২৩ মে আইএমএফের বোর্ড সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হতে হবে।
এই দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। পুরোপুরি বাজারের ওপর না ছেড়ে হলেও কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর ঋণ ছাড়ের ব্যাপারে আইএমএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ক্রলিং পেগ’ ব্যবস্থায় কিছুটা ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, যা নিয়ে আগে মতবিরোধ থাকায় ঋণের কিস্তি আটকে ছিল।
এই ব্যবস্থায় ‘ক্রলিং পেগ’ এর করিডর বাড়ানো হবে, যাতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে ডলারের দর কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে এই ব্যবস্থার মধ্যবর্তী বিনিময় হার ১১৯ টাকা, যার সঙ্গে আড়াই শতাংশ কম বা বেশি হতে পারে।
দুবাই সফরে থাকা গভর্নর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, “আমাদের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। তাই আমরা প্রস্তুত ডলারের দর বাজারভিত্তিক করতে। আমরা মনে করি আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে। তবে আশা করছি, তা করতে হবে না।”
এলসি নিষ্পত্তি করতে কোনো ব্যাংকে চাপ পড়লে, অন্য ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে তা পূরণ করার পরামর্শ দেন গভর্নর।
তিনি জানান, আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে, তবে ডলারের সংকট হয়নি এবং বিদেশে অর্থ পরিশোধে কোনো বিধিন
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আইএমএফের কিস্তিসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার জুনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
আটকে থাকা কিস্তির অর্থ ছাড়ে নানা শর্ত নিয়ে আলোচনা শেষে সম্প্রতি আইএমএফ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে কিছুটা ছাড় দিতে সম্মত হয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, “ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে দেওয়ার সময় হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমানে ডলারের যা দর রয়েছে, তার থেকে খুব বেশি তারতম্য ঘটবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক মাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ডলার বাজার স্থিতিশীল ছিল। আগামীতেও আশা করছি ডলার বাজারে ইন্টারভেন করার দরকার হবে না।”
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২৩ মে আইএমএফের বোর্ড সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হতে হবে।
এই দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। পুরোপুরি বাজারের ওপর না ছেড়ে হলেও কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর ঋণ ছাড়ের ব্যাপারে আইএমএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ক্রলিং পেগ’ ব্যবস্থায় কিছুটা ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, যা নিয়ে আগে মতবিরোধ থাকায় ঋণের কিস্তি আটকে ছিল।
এই ব্যবস্থায় ‘ক্রলিং পেগ’ এর করিডর বাড়ানো হবে, যাতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে ডলারের দর কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে এই ব্যবস্থার মধ্যবর্তী বিনিময় হার ১১৯ টাকা, যার সঙ্গে আড়াই শতাংশ কম বা বেশি হতে পারে।
দুবাই সফরে থাকা গভর্নর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, “আমাদের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। তাই আমরা প্রস্তুত ডলারের দর বাজারভিত্তিক করতে। আমরা মনে করি আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে। তবে আশা করছি, তা করতে হবে না।”
এলসি নিষ্পত্তি করতে কোনো ব্যাংকে চাপ পড়লে, অন্য ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে তা পূরণ করার পরামর্শ দেন গভর্নর।
তিনি জানান, আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে, তবে ডলারের সংকট হয়নি এবং বিদেশে অর্থ পরিশোধে কোনো বিধিন