alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না মেলায় ১৮ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন অনিশ্চিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ১৮টি এখনও ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। এতে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণার সুপারিশও করতে পারেনি, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হলেও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে। ব্যাংকের গভর্নর আরব আমিরাত সফর শেষে ফিরলে অনুমোদন মিলবে বলে জানানো হয়েছে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিষয়টিকে ‘অস্বস্তিকর’ ও ‘বিনিয়োগবান্ধব নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এমনিতেই বাজার চাপের মধ্যে রয়েছে, তার ওপর এই বিলম্ব বাজারের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলছে। বিনিয়োগকারীরা মে মাসে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য অপেক্ষায় থাকেন, কারণ ব্যাংক খাতকে তারা নির্ভরযোগ্য মনে করেন।

তিনি জানান, দ্রুত সমাধানের জন্য বিষয়টি ডিএসইর মাধ্যমে বিএসইসির নজরে আনা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বলেন, অতীতেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই নজির দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে এবং তাদের সময় চাওয়ায় মন্ত্রণালয় মে মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিলেছে, এখন সিদ্ধান্ত আসবে গভর্নর ফিরলে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী সরকারের পরামর্শক্রমে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত তফসিলি ব্যাংকের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গভর্নর ১২ মে পর্যন্ত অফিস করে আরব আমিরাতে গেছেন, যেখানে ১৩ ও ১৪ মে আন্তর্জাতিক সুকুক ফোরামে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। কিছু বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও সেখানে অবস্থান করছেন।

এই প্রেক্ষাপটে ১৮টি ব্যাংক এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ হওয়ায় গভর্নরের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে কবে অনুমোদন মিলবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল ছিল ২০২৪ হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে লভ্যাংশ ঘোষণার শেষ দিন। সেই অনুযায়ী ব্যাংকগুলো আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে শেষ দিন পর্যন্তও অনুমোদন বা অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় কোনো ব্যাংকের পর্ষদ সভা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

ফলে বিনিয়োগকারীরা যেমন লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, তেমনি জানুয়ারি-মার্চ সময়কালের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এই ১৮টি ব্যাংক হলো: রূপালী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড, ওয়ান, প্রিমিয়ার, আইএফআইসি, আল আরাফাহ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, এক্সিম, সাউথ ইস্ট, সোশ্যাল ইসলামী, এনআরবিসি, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার, মার্কেন্টাইল, এনআরবি, এবি, ইউসিবি ও গ্লোবাল ইসলামী।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন কারণে এসব ব্যাংকের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা ও এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থতা। এছাড়া কিছু ব্যাংক প্রভিশন ধাপে ধাপে সংরক্ষণের প্রস্তাব দেয়।

তাদের যুক্তি, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত ছিল। ফলে অনেক গ্রাহক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। হঠাৎ করে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলেও আমানতের পরিমাণ অনুপাতে বাড়েনি। তাই সব প্রভিশন একসাথে রাখা ব্যাংকগুলোর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।

এই প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে মতবিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি গভর্নরের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বিনিয়োগকারীরা গত ছয় মাসের আর্থিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে বাকি ১৭টি ব্যাংক ইতোমধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বিশেষ নিরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ইউনিয়ন ব্যাংক এখনও বার্ষিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জানান, নিরীক্ষা শেষ হলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।

ছবি

ফের স্থগিত ই-ক্যাব নির্বাচন

ছবি

সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালু

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান

ছবি

বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানা এখন গাজীপুরের তাসনিয়া ফেব্রিকস

ছবি

রেমিটেন্সে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত, ১০ দিনে এলো ৯০ কোটি ডলার

ছবি

জুনের মধ্যে আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়

ছবি

জুনের মধ্যে আইএমএফের দুটি কিস্তি মিলিয়ে ১.৩০ বিলিয়ন ডলার পেতে পারে বাংলাদেশ

ছবি

সারা দেশে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিভ্রাট, সমস্যায় কোটি গ্রাহক

ছবি

গ্রামীন ব্যাংকের পর্ষদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দুই নারী বিশেষজ্ঞ বাধ্যতামূলক, এমডির বয়সসীমা ৬৫

ছবি

বাজারই ঠিক করবে ডলারের দাম: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

সারের দুই গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা

শেয়ারবাজার নিয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান বিএমবিএ নেতারা

এক কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার

ছবি

সিঙ্গাপুর থেকে আসবে এক কার্গো এলএনজি, ব্যয় ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ

ছবি

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাজেট ২০২৫-২৬: ব্যাংক থেকে এবার কম ঋণ নেবে সরকার

ছবি

রেনেটা পিএলসি’র জন্য বিজনেস ক্রেডিট কার্ড সেবা নিয়ে আসলো এমটিবি ও মাস্টারকার্ড

ছবি

বিনিময় হার নমনীয়তায় সম্মত বাংলাদেশ, জুনেই আসছে আইএমএফের অর্থ

ছবি

প্রিয়শপ পরির্দশনে বিদেশি বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

ছবি

বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন দুটি স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন

কমলো উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দাম

ছবি

এনবিআরকে দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি

সিএজি কার্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নতুন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্টেন্টদের নিয়োগপত্র প্রদান

ছবি

ছয় নারী উদ্যোক্তা পেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মাননা

ছবি

শুধু ভালো ব্যাংকগুলোই বিদেশে ব্যবসা করতে পারবে

সিএজি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন

ছবি

৭ দিনে ৯ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স

ছবি

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ১০ শতাংশ বেড়েছে

ছবি

পাবজি মোবাইলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে ইনফিনিক্স

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ফিলিপসের নতুন মনিটর

ছবি

শাওমির ১০ কোটি টাকার ঈদ ক্যাম্পেইন

ছবি

অর্থনৈতিক সুরক্ষায় নতুন অধ্যাদেশ: দেউলিয়া ব্যাংক সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে সরকার

রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত

ছবি

দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নতুন অধ্যাদেশ জারি, গঠিত হবে ব্রিজ ব্যাংক

ছবি

চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনের জন্য প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না মেলায় ১৮ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন অনিশ্চিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ১৮টি এখনও ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। এতে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণার সুপারিশও করতে পারেনি, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হলেও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে। ব্যাংকের গভর্নর আরব আমিরাত সফর শেষে ফিরলে অনুমোদন মিলবে বলে জানানো হয়েছে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিষয়টিকে ‘অস্বস্তিকর’ ও ‘বিনিয়োগবান্ধব নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এমনিতেই বাজার চাপের মধ্যে রয়েছে, তার ওপর এই বিলম্ব বাজারের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলছে। বিনিয়োগকারীরা মে মাসে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য অপেক্ষায় থাকেন, কারণ ব্যাংক খাতকে তারা নির্ভরযোগ্য মনে করেন।

তিনি জানান, দ্রুত সমাধানের জন্য বিষয়টি ডিএসইর মাধ্যমে বিএসইসির নজরে আনা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বলেন, অতীতেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই নজির দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে এবং তাদের সময় চাওয়ায় মন্ত্রণালয় মে মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিলেছে, এখন সিদ্ধান্ত আসবে গভর্নর ফিরলে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী সরকারের পরামর্শক্রমে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত তফসিলি ব্যাংকের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গভর্নর ১২ মে পর্যন্ত অফিস করে আরব আমিরাতে গেছেন, যেখানে ১৩ ও ১৪ মে আন্তর্জাতিক সুকুক ফোরামে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। কিছু বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও সেখানে অবস্থান করছেন।

এই প্রেক্ষাপটে ১৮টি ব্যাংক এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ হওয়ায় গভর্নরের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে কবে অনুমোদন মিলবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল ছিল ২০২৪ হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে লভ্যাংশ ঘোষণার শেষ দিন। সেই অনুযায়ী ব্যাংকগুলো আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে শেষ দিন পর্যন্তও অনুমোদন বা অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় কোনো ব্যাংকের পর্ষদ সভা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

ফলে বিনিয়োগকারীরা যেমন লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, তেমনি জানুয়ারি-মার্চ সময়কালের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এই ১৮টি ব্যাংক হলো: রূপালী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড, ওয়ান, প্রিমিয়ার, আইএফআইসি, আল আরাফাহ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, এক্সিম, সাউথ ইস্ট, সোশ্যাল ইসলামী, এনআরবিসি, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার, মার্কেন্টাইল, এনআরবি, এবি, ইউসিবি ও গ্লোবাল ইসলামী।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন কারণে এসব ব্যাংকের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা ও এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থতা। এছাড়া কিছু ব্যাংক প্রভিশন ধাপে ধাপে সংরক্ষণের প্রস্তাব দেয়।

তাদের যুক্তি, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত ছিল। ফলে অনেক গ্রাহক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। হঠাৎ করে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলেও আমানতের পরিমাণ অনুপাতে বাড়েনি। তাই সব প্রভিশন একসাথে রাখা ব্যাংকগুলোর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।

এই প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে মতবিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি গভর্নরের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বিনিয়োগকারীরা গত ছয় মাসের আর্থিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে বাকি ১৭টি ব্যাংক ইতোমধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বিশেষ নিরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ইউনিয়ন ব্যাংক এখনও বার্ষিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জানান, নিরীক্ষা শেষ হলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।

back to top