জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার মিরপুরে হকার সাগর হত্যা মামলায় সংগীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১২ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে মমতাজকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম।
তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন সাগর। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়।
পরে রাত ৩টার দিকে তার মা বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে খুঁজতে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাশের খোঁজ পান। তিনি লাশ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন।
এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় ৪০ নম্বরে মমতাজ বেগমের নাম রয়েছে।
লোকসংগীতের শিল্পী মমতাজ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য হন। পরবর্তী দুইবারও তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হেরে যান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলায় আসামির তালিকায় তার নাম রয়েছে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার মিরপুরে হকার সাগর হত্যা মামলায় সংগীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১২ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে মমতাজকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম।
তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন সাগর। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়।
পরে রাত ৩টার দিকে তার মা বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে খুঁজতে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাশের খোঁজ পান। তিনি লাশ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন।
এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় ৪০ নম্বরে মমতাজ বেগমের নাম রয়েছে।
লোকসংগীতের শিল্পী মমতাজ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য হন। পরবর্তী দুইবারও তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হেরে যান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলায় আসামির তালিকায় তার নাম রয়েছে।