ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির উন্নতি চাই।’
বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে উন্নত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার অত্যাবশ্যকীয়তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘যে ব্যবসায়ী তার কারখানা বা দোকানে দিনশেষে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, যার পণ্য পরিবহন পথে ছিনতাইয়ের শঙ্কা থাকে, যে ই-কমার্স উদ্যোক্তা প্রতারকের বিরুদ্ধে কোনো দ্রুত প্রতিকার পান না তারা কখনোই বড় পরিসরে বা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন না। সুতরাং, এ মুহূর্তে আমাদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত এমন একটি সমন্বিত নীতিমালার ও অ্যাকশনের, যেখানে ব্যবসা-সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়গুলো হবে বিশেষভাবে সহায়ক। এই লক্ষ্যেই আজকের এই মতবিনিময় সভা একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে আমরা একসাথে বসে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করব এবং তার সমাধানে সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ প্রদান করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্যোক্তাদের সামনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে যেমন অনিরাপদ পরিবেশ, চাঁদাবাজি, প্রতারণামূলক অনলাইন কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন ঝুঁকি, জালিয়াতি ও সাইবার হুমকি, যা শুধু বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিতই করছে না বরং স্থায়ীভাবে অনেক উদ্যোক্তার আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক প্রত্যাশা তারা যেন নির্বিঘ্নে, স্বচ্ছভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই ব্যবসায়িক কর্মকা-ের টেকসই অগ্রগতির জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নগর প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমাজের পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া বিনিয়োগে আস্থা সঞ্চার হয় না। আমরা একটি ‘ইনভেস্টর-ফ্রেন্ডলি বাংলাদেশ’ দেখতে চাই, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনা দ্বিধায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেন এবং নির্ভারভাবে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।’
ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি অর্থনীতির পথে যাত্রা শুরু করেছে। শিল্পায়ন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণের মতো নীতিগত উদ্যোগ আমরা নিতে শুরু করেছি। কিন্তু এই গতিশীলতার স্বার্থে সবচেয়ে বড় ভিত্তি একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং কার্যকর আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে কমিউনিটি পুলিশিং-এর কার্যকর বিস্তার, ই-কমার্স ও সাইবার অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে বিশেষায়িত ইউনিটের সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মতো অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি কার্যকর ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গঠন, রাত্রিকালীন সময়ে পণ্য পরিবহনকে নিরাপদ করতে করিডোরভিত্তিক মোবাইল টিম সক্রিয়করণ এবং বিশেষ করে এসএমই খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নিরাপত্তা ও সহায়তার পৃথক ও শক্তিশালী ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, যেন সকল ব্যবসায়ীরা নিরাপদ পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।’
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির উন্নতি চাই।’
বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে উন্নত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার অত্যাবশ্যকীয়তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘যে ব্যবসায়ী তার কারখানা বা দোকানে দিনশেষে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, যার পণ্য পরিবহন পথে ছিনতাইয়ের শঙ্কা থাকে, যে ই-কমার্স উদ্যোক্তা প্রতারকের বিরুদ্ধে কোনো দ্রুত প্রতিকার পান না তারা কখনোই বড় পরিসরে বা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন না। সুতরাং, এ মুহূর্তে আমাদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত এমন একটি সমন্বিত নীতিমালার ও অ্যাকশনের, যেখানে ব্যবসা-সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়গুলো হবে বিশেষভাবে সহায়ক। এই লক্ষ্যেই আজকের এই মতবিনিময় সভা একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে আমরা একসাথে বসে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করব এবং তার সমাধানে সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ প্রদান করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্যোক্তাদের সামনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে যেমন অনিরাপদ পরিবেশ, চাঁদাবাজি, প্রতারণামূলক অনলাইন কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন ঝুঁকি, জালিয়াতি ও সাইবার হুমকি, যা শুধু বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিতই করছে না বরং স্থায়ীভাবে অনেক উদ্যোক্তার আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক প্রত্যাশা তারা যেন নির্বিঘ্নে, স্বচ্ছভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই ব্যবসায়িক কর্মকা-ের টেকসই অগ্রগতির জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নগর প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমাজের পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া বিনিয়োগে আস্থা সঞ্চার হয় না। আমরা একটি ‘ইনভেস্টর-ফ্রেন্ডলি বাংলাদেশ’ দেখতে চাই, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনা দ্বিধায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেন এবং নির্ভারভাবে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।’
ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি অর্থনীতির পথে যাত্রা শুরু করেছে। শিল্পায়ন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণের মতো নীতিগত উদ্যোগ আমরা নিতে শুরু করেছি। কিন্তু এই গতিশীলতার স্বার্থে সবচেয়ে বড় ভিত্তি একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং কার্যকর আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে কমিউনিটি পুলিশিং-এর কার্যকর বিস্তার, ই-কমার্স ও সাইবার অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে বিশেষায়িত ইউনিটের সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মতো অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি কার্যকর ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গঠন, রাত্রিকালীন সময়ে পণ্য পরিবহনকে নিরাপদ করতে করিডোরভিত্তিক মোবাইল টিম সক্রিয়করণ এবং বিশেষ করে এসএমই খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নিরাপত্তা ও সহায়তার পৃথক ও শক্তিশালী ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, যেন সকল ব্যবসায়ীরা নিরাপদ পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।’