ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং খাতভিত্তিক উন্নয়নে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে কাঠামোগত সম্পৃক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন ‘২০২৩ সালে ঢাকায় আমাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করার পর, আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা লক্ষ্য করেছি। উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলি, বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও অন্বেষণ করা যেতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত গত বুধবার নগরীর ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এর কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।

আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য বহুমুখীকরণ কৌশলে আর্জেন্টিনার ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার বাণিজ্য বৈচিত্র্য কৌশলে আর্জেন্টিনাকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।’ তিনি ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার তৎকালীন কৃষি ও শিল্পবিষয়ক সচিব লুইস মিগুয়েল এচেভেহের-এর আইসিসিবি সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দেন, যা কৃষি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করেছিল।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইসিসিবির সহ-সভাপতি এ. কে. আজাদ, নির্বাহী বোর্ড সদস্য আবদুল হাই সরকার, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এম. এ. জব্বার (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিবিএল গ্রুপ) এবং আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান।

তাঁরা রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, ভুট্টা, গম ও তুলা আমদানি করে, আর বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় প্রধানত তৈরি পোশাক ও ওষুধ রপ্তানি হয়।

রাষ্ট্রদূতের এই সফর এমন এক সময়ে হয়েছে যখন দুই দেশই যৌথ বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র, বিশেষ করে জ্বালানি, কৃষি, চিকিৎসা প্রযুক্তি ও তুলা খাতের সহযোগিতার পথ খুঁজছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের জনপ্রিয়তাকেও সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর ম্যাক্সিমিলিয়ানো রোমানেলো, আইসিসিবির জেনারেল ম্যানেজার অজয় বিহারী সাহা এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দা শাহনেওয়াজ লতিকা।