জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণে সরকারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ এই ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী, প্রসেস টেম্পারিং ও সকলের অগোচরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল কাঠামো ধ্বংসের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই চেয়ারম্যানের হাতে প্রকৃত সংস্কার কার্যক্রম হুমকির মুখে। সেজন্য আমরা তাকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।”
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঐক্য পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, এনবিআরের ভেতরে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কার প্রক্রিয়াকে তিনি নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছেন। এতে বলা হয়, “সংস্কারের নামে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে রাজস্ব প্রশাসনের কাঠামো ধ্বংসের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে রাতে সরকার ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে এনবিআরকে দুই ভাগ করার উদ্যোগ নেয়। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে পরদিন থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান, কলমবিরতি ও অসহযোগ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে সরকার জানান, এনবিআরকে বিলুপ্ত করা হচ্ছে না, বরং তা স্বাধীন ও বিশেষায়িত বিভাগে উন্নীত করা হবে।
এ লক্ষ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধিত অধ্যাদেশ আনার ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এনবিআর ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন, তবে চেয়ারম্যানকে অপসারণে সরকারকে তিন দিনের সময়সীমা দেন।
ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এনবিআরের অডিট কার্যক্রম বন্ধ রাখা, অযৌক্তিক ভ্যাট হার বৃদ্ধি, কর ফাঁকিতে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সহায়তা ও পূর্বে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”
তাদের দাবি, এনবিআরের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে, বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরানো অত্যাবশ্যক।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, চেয়ারম্যানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার সংকট তৈরি হওয়ায় তার সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণে সরকারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ এই ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী, প্রসেস টেম্পারিং ও সকলের অগোচরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল কাঠামো ধ্বংসের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই চেয়ারম্যানের হাতে প্রকৃত সংস্কার কার্যক্রম হুমকির মুখে। সেজন্য আমরা তাকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।”
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঐক্য পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, এনবিআরের ভেতরে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কার প্রক্রিয়াকে তিনি নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছেন। এতে বলা হয়, “সংস্কারের নামে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে রাজস্ব প্রশাসনের কাঠামো ধ্বংসের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে রাতে সরকার ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে এনবিআরকে দুই ভাগ করার উদ্যোগ নেয়। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে পরদিন থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান, কলমবিরতি ও অসহযোগ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে সরকার জানান, এনবিআরকে বিলুপ্ত করা হচ্ছে না, বরং তা স্বাধীন ও বিশেষায়িত বিভাগে উন্নীত করা হবে।
এ লক্ষ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধিত অধ্যাদেশ আনার ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এনবিআর ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন, তবে চেয়ারম্যানকে অপসারণে সরকারকে তিন দিনের সময়সীমা দেন।
ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এনবিআরের অডিট কার্যক্রম বন্ধ রাখা, অযৌক্তিক ভ্যাট হার বৃদ্ধি, কর ফাঁকিতে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সহায়তা ও পূর্বে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”
তাদের দাবি, এনবিআরের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে, বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরানো অত্যাবশ্যক।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, চেয়ারম্যানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার সংকট তৈরি হওয়ায় তার সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।