জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অবস্থানে থেকেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রোববার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েও ফিরে আসেন আয়কর বিভাগের ১০ জন এবং কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের আরও ১০ জন কর্মকর্তা।
পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমে জেনেছিলাম তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) আলোচনা করবেন। আবার একই সূত্রে জানতে পারি, তিনি আলোচনায় বসবেন না—এ জন্য আমরা ফিরে এসেছি।”
দিনভর দেশের সব কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালিত হয় এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ আন্দোলন দ্বিতীয় দিনের মতো চলতে থাকে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।
বৈঠকের সম্ভাবনার পর ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিলেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ অব্যাহত রাখেন আন্দোলনকারীরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, যারা মার্চে অংশ নিতে এনবিআরে আসেন, তারা সকালেই উপস্থিত হন, ফলে কর্মসূচি স্থগিতের খুব একটা প্রভাব পড়ে না।
শনিবার শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে কর্মবিরতি পালন চলছে।
অর্থ উপদেষ্টা বৈঠকে বসবেন না বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, “কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।”
এনবিআরের কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকায় সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর বার্তা এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কর্মস্থলে না ফিরলে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, “জাতীয় স্বার্থে দেশের আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্য সচল রাখতে কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সব ধরনের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।”
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়, অন্যথায় জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত মাসে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে পৃথক বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর বিরোধিতায় কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আন্দোলনে নামে এনবিআরের কর্মীরা।
পরে সরকার আলোচনার আশ্বাস দিলে কর্মীরা কাজে ফিরলেও এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে তারা অনড় থাকেন।
আন্দোলনের মধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় কার্যালয়ে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এরপর তিনি আন্দোলনরত কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করেন এবং তাদের সেমিনারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ বন্ধ করে দেন, ফলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বাড়ে।
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অবস্থানে থেকেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রোববার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েও ফিরে আসেন আয়কর বিভাগের ১০ জন এবং কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের আরও ১০ জন কর্মকর্তা।
পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমে জেনেছিলাম তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) আলোচনা করবেন। আবার একই সূত্রে জানতে পারি, তিনি আলোচনায় বসবেন না—এ জন্য আমরা ফিরে এসেছি।”
দিনভর দেশের সব কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালিত হয় এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ আন্দোলন দ্বিতীয় দিনের মতো চলতে থাকে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।
বৈঠকের সম্ভাবনার পর ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিলেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ অব্যাহত রাখেন আন্দোলনকারীরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, যারা মার্চে অংশ নিতে এনবিআরে আসেন, তারা সকালেই উপস্থিত হন, ফলে কর্মসূচি স্থগিতের খুব একটা প্রভাব পড়ে না।
শনিবার শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে কর্মবিরতি পালন চলছে।
অর্থ উপদেষ্টা বৈঠকে বসবেন না বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, “কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।”
এনবিআরের কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকায় সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর বার্তা এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কর্মস্থলে না ফিরলে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, “জাতীয় স্বার্থে দেশের আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্য সচল রাখতে কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সব ধরনের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।”
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়, অন্যথায় জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত মাসে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে পৃথক বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর বিরোধিতায় কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আন্দোলনে নামে এনবিআরের কর্মীরা।
পরে সরকার আলোচনার আশ্বাস দিলে কর্মীরা কাজে ফিরলেও এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে তারা অনড় থাকেন।
আন্দোলনের মধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় কার্যালয়ে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এরপর তিনি আন্দোলনরত কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করেন এবং তাদের সেমিনারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ বন্ধ করে দেন, ফলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বাড়ে।