বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমাতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সেই সঙ্গে নতুন বিনিময় হার পদ্ধতির প্রশংসা করলেও ভবিষ্যতে হারটি পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আইএমএফের ওয়াশিংটন কার্যালয় থেকে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপমিশনপ্রধান আইভো ক্রিজনার ও আইএমএফের ঢাকা অফিসের প্রধান জয়েন্দু দে।
আইএমএফ জানায়, চলমান ঋণ কর্মসূচির মেয়াদ ২০২৬ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অতিরিক্ত ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ পাবে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হলেও বাংলাদেশ এখনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে ‘সঠিক পথে’ আছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে স্বীকার করলেও পাপাজর্জিও বলেন, “এটি সম্ভব। জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আহরণের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে আইএমএফ। এনবিআরকে কার্যকর ও স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা এবং কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনতে একসঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। এ সময় রপ্তানি খাতে বহুমুখীকরণ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধি, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন ও তথ্যের মানোন্নয়ন অপরিহার্য হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছে আইএমএফ।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমাতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সেই সঙ্গে নতুন বিনিময় হার পদ্ধতির প্রশংসা করলেও ভবিষ্যতে হারটি পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আইএমএফের ওয়াশিংটন কার্যালয় থেকে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপমিশনপ্রধান আইভো ক্রিজনার ও আইএমএফের ঢাকা অফিসের প্রধান জয়েন্দু দে।
আইএমএফ জানায়, চলমান ঋণ কর্মসূচির মেয়াদ ২০২৬ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অতিরিক্ত ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ পাবে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হলেও বাংলাদেশ এখনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে ‘সঠিক পথে’ আছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে স্বীকার করলেও পাপাজর্জিও বলেন, “এটি সম্ভব। জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আহরণের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে আইএমএফ। এনবিআরকে কার্যকর ও স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা এবং কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনতে একসঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। এ সময় রপ্তানি খাতে বহুমুখীকরণ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধি, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন ও তথ্যের মানোন্নয়ন অপরিহার্য হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছে আইএমএফ।