alt

অর্থ-বাণিজ্য

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

দেশের জাতীয় কৃষি মজুরির (দৈনিক ৬০০ টাকা) চেয়ে কম মজুরি পান প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক। আর বাকি ৬০ শতাংশ কৃষক জাতীয় কৃষি মজুরি হারের সমান বা এর চেয়ে বেশি মজুরি পান। দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে মজুরির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছেন সিলেট ও খুলনা বিভাগের কৃষকেরা। আর মজুরির দিক থেকে এগিয়ে আছেন ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের কৃষকেরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস মিলনায়তনে গতকাল সোমবার বিকেলে কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়ন পরিমাপে পরিচালিত ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’ শীর্ষক জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল তুলে ধরা হয়। দেশে প্রথমবারের মতো এই জরিপ করা হয়েছে। ১১টি মানদ-ের ভিত্তিতে দেশের কৃষি খাত কতটা টেকসই, সেটি বের করাই ছিল এ জরিপের অন্যতম উদ্দেশ্য। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়, দেশের কৃষিজমির ৫৭ শতাংশ এখনো টেকসই ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়েছে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

জরিপে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামে কৃষকেরা কম মজুরি পান। শহরাঞ্চলে যেখানে ৭৬ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান, গ্রামে সেই হার ৫৯ শতাংশ। বিভাগের হিসাবে, সিলেটের ৬৩ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না। খুলনায় এ হার প্রায় ৬০ শতাংশ। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে মজুরি পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগে যথাযথ মজুরি পান ৭৫ শতাংশ কৃষক। আর চট্টগ্রামে এ হার ৭৩ শতাংশ। ঢাকার প্রায় ৬৭ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান।

কৃষি খাতে লাভের বিষয়ে জরিপের তথ্যে উঠে এসেছে, দেশের ৭৯ শতাংশ জমি গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক বছর লাভজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ২১ শতাংশ কৃষিজমি তিন বছরের কোনো বছরেই লাভের মুখ দেখেনি। শহরাঞ্চলে এ হার ২৫ শতাংশ।

জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে জমির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বলা হয়, দেশের প্রায় ৩১ শতাংশ কৃষিজমি কৃষিঋণ, ইনস্যুরেন্স ও একাধিক ফসলের আওতায় নেই। ফলে যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এসব কৃষিজমি। শহরাঞ্চলে এ ধরনের জমির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ।

কৃষি চাষে সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের অবস্থাও উঠে এসেছে জরিপে। বিবিএস বলছে, দেশের প্রায় ৪৩ শতাংশ জমিতে সার ব্যবহারের আটটি পদ্ধতির কোনোটিই অনুসরণ করা হয় না। আর দেশের ৪৯ শতাংশ কৃষিজমিতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এ ক্ষেত্রে ১১টি পদ্ধতির একটিও অনুসরণ করা হয় না, যা পরিবেশ ভারসাম্য ও কৃষকের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

সেচ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়, দেশের ১৮ শতাংশ জমিতে যথাযথ সেচের পানি পাওয়া যায় না। জরিপের তথ্যমতে, সার্বিকভাবে দেশের ৫৭ শতাংশ কৃষিজমিই টেকসই ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলেয়া আক্তার বলেন, ‘এত দিন আমরা সার–কীটনাশকের ব্যবহার বাড়িয়ে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধির কথা ভাবতাম। তবে টেকসই দৃষ্টিতে শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, পরিবেশের প্রতিও নজর দিতে হবে। নগদ লাভ দেখলেই হবে না, উৎপাদন উপকরণের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে জমির উর্বরতা যেন ঠিক থাকে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘কৃষিতে এখন কোন দিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তা এ জরিপের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সেভাবেই হয়তো আমরা ভবিষ্যৎ প্রকল্প পরিকল্পনা সাজাব। জরিপে উঠে আসা সার ব্যবহারের বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমাদের ইউরিয়াসহ অন্য সারগুলো আমদানি করতে হয়। ৮০-৯০ টাকায় সার কিনে তা কৃষক পর্যায়ে ৩০–৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। সারের ব্যবহার কমছে না। মুন্সিগঞ্জে আলু চাষে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি একটি খামারি অ্যাপস চালু করেছি। যার মাধ্যমে কোন জমিতে কোন ফসল ভালো হবে এবং কেমন সার ব্যবহার করতে হবে সেটার তথ্য পাওয়া যায়। তবে এখনো এটা কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা যায়নি। আমরা কৃষকের মধ্যে জৈব সার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কৃষি নীতি গ্রহণে এই জরিপের তথ্য সহায়ক হবে। এত দিন কৃষিকে সাদাচোখে দেখলেও এখন টেকসই দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

সভায় উন্মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপংকর রায়।

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

ছবি

বাজার মূলধনে যোগ হলো ১১ হাজার কোটি টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

দেশের জাতীয় কৃষি মজুরির (দৈনিক ৬০০ টাকা) চেয়ে কম মজুরি পান প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক। আর বাকি ৬০ শতাংশ কৃষক জাতীয় কৃষি মজুরি হারের সমান বা এর চেয়ে বেশি মজুরি পান। দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে মজুরির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছেন সিলেট ও খুলনা বিভাগের কৃষকেরা। আর মজুরির দিক থেকে এগিয়ে আছেন ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের কৃষকেরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস মিলনায়তনে গতকাল সোমবার বিকেলে কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়ন পরিমাপে পরিচালিত ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’ শীর্ষক জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল তুলে ধরা হয়। দেশে প্রথমবারের মতো এই জরিপ করা হয়েছে। ১১টি মানদ-ের ভিত্তিতে দেশের কৃষি খাত কতটা টেকসই, সেটি বের করাই ছিল এ জরিপের অন্যতম উদ্দেশ্য। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়, দেশের কৃষিজমির ৫৭ শতাংশ এখনো টেকসই ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়েছে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

জরিপে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামে কৃষকেরা কম মজুরি পান। শহরাঞ্চলে যেখানে ৭৬ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান, গ্রামে সেই হার ৫৯ শতাংশ। বিভাগের হিসাবে, সিলেটের ৬৩ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না। খুলনায় এ হার প্রায় ৬০ শতাংশ। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে মজুরি পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগে যথাযথ মজুরি পান ৭৫ শতাংশ কৃষক। আর চট্টগ্রামে এ হার ৭৩ শতাংশ। ঢাকার প্রায় ৬৭ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান।

কৃষি খাতে লাভের বিষয়ে জরিপের তথ্যে উঠে এসেছে, দেশের ৭৯ শতাংশ জমি গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক বছর লাভজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ২১ শতাংশ কৃষিজমি তিন বছরের কোনো বছরেই লাভের মুখ দেখেনি। শহরাঞ্চলে এ হার ২৫ শতাংশ।

জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে জমির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বলা হয়, দেশের প্রায় ৩১ শতাংশ কৃষিজমি কৃষিঋণ, ইনস্যুরেন্স ও একাধিক ফসলের আওতায় নেই। ফলে যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এসব কৃষিজমি। শহরাঞ্চলে এ ধরনের জমির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ।

কৃষি চাষে সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের অবস্থাও উঠে এসেছে জরিপে। বিবিএস বলছে, দেশের প্রায় ৪৩ শতাংশ জমিতে সার ব্যবহারের আটটি পদ্ধতির কোনোটিই অনুসরণ করা হয় না। আর দেশের ৪৯ শতাংশ কৃষিজমিতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এ ক্ষেত্রে ১১টি পদ্ধতির একটিও অনুসরণ করা হয় না, যা পরিবেশ ভারসাম্য ও কৃষকের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

সেচ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়, দেশের ১৮ শতাংশ জমিতে যথাযথ সেচের পানি পাওয়া যায় না। জরিপের তথ্যমতে, সার্বিকভাবে দেশের ৫৭ শতাংশ কৃষিজমিই টেকসই ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলেয়া আক্তার বলেন, ‘এত দিন আমরা সার–কীটনাশকের ব্যবহার বাড়িয়ে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধির কথা ভাবতাম। তবে টেকসই দৃষ্টিতে শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, পরিবেশের প্রতিও নজর দিতে হবে। নগদ লাভ দেখলেই হবে না, উৎপাদন উপকরণের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে জমির উর্বরতা যেন ঠিক থাকে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘কৃষিতে এখন কোন দিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তা এ জরিপের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সেভাবেই হয়তো আমরা ভবিষ্যৎ প্রকল্প পরিকল্পনা সাজাব। জরিপে উঠে আসা সার ব্যবহারের বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমাদের ইউরিয়াসহ অন্য সারগুলো আমদানি করতে হয়। ৮০-৯০ টাকায় সার কিনে তা কৃষক পর্যায়ে ৩০–৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। সারের ব্যবহার কমছে না। মুন্সিগঞ্জে আলু চাষে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি একটি খামারি অ্যাপস চালু করেছি। যার মাধ্যমে কোন জমিতে কোন ফসল ভালো হবে এবং কেমন সার ব্যবহার করতে হবে সেটার তথ্য পাওয়া যায়। তবে এখনো এটা কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা যায়নি। আমরা কৃষকের মধ্যে জৈব সার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কৃষি নীতি গ্রহণে এই জরিপের তথ্য সহায়ক হবে। এত দিন কৃষিকে সাদাচোখে দেখলেও এখন টেকসই দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

সভায় উন্মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপংকর রায়।

back to top