ইলিশের বাড়ি হিসেবে খ্যাত চাঁদপুরসহ যেসব জেলায় ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ে, সেসব জেলায় দাম নির্ধারণের প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইলিশের দাম নির্ধারণের বিষয়ে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ভোক্তা পর্যায়ে ইলিশের দাম নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ আছে। ইলিশের দাম ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমরা সরকারকে একটা গোপনীয় প্রতিবেদন দিই প্রায় সময়ই জেলার বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এখানেও আমরা গোপনীয় প্রতিবেদনটা মন্ত্রীপরিষদে পাঠাই। সেখানে আমরা বলেছি সরকারের সাথে যেন এটা নিয়ে আলোচনা করে যে—ইলিশের দাম আসলে ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই রিপোর্ট আমরা যখন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে পাঠাই, তারা আবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপস্থাপন করেছে। তখন তিনিও এটার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এবং বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় এবং সরকারকে জানায়। আমরা প্রাথমিকভাবে একটা প্রস্তাব দিয়েছি, এখন মন্ত্রণালয় যদি উদ্যোগ নেয়, দরদাম কীভাবে নির্ধারণ হবে, তখন আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেব।’
চাঁদপুরের ডিসির পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে জুনে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করে। এরপর প্রধান উপদেষ্টার নীতিগত অনুমোদনের পর ২৬ জুন ফিরতি চিঠিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে ডিসিকে সেটি জানানো হয়। চাঁদপুর ছাড়াও বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও সাগর বা নদীতে উৎপাদন খরচ ছাড়া ধরা পড়া ইলিশের দাম সবসময়ই চড়া থাকে। ফলে, নিম্ন বা মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে ইলিশ অধরাই থাকে। দাম নির্ধারিত হলে সে সংকট কেটে যেতে পারে।
গত ৩০ জুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশের মূল্য ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং দাম বৃদ্ধির পেছনের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে পারলে তাতে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করা যায়।’
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
ইলিশের বাড়ি হিসেবে খ্যাত চাঁদপুরসহ যেসব জেলায় ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ে, সেসব জেলায় দাম নির্ধারণের প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইলিশের দাম নির্ধারণের বিষয়ে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ভোক্তা পর্যায়ে ইলিশের দাম নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ আছে। ইলিশের দাম ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমরা সরকারকে একটা গোপনীয় প্রতিবেদন দিই প্রায় সময়ই জেলার বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এখানেও আমরা গোপনীয় প্রতিবেদনটা মন্ত্রীপরিষদে পাঠাই। সেখানে আমরা বলেছি সরকারের সাথে যেন এটা নিয়ে আলোচনা করে যে—ইলিশের দাম আসলে ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই রিপোর্ট আমরা যখন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে পাঠাই, তারা আবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপস্থাপন করেছে। তখন তিনিও এটার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এবং বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় এবং সরকারকে জানায়। আমরা প্রাথমিকভাবে একটা প্রস্তাব দিয়েছি, এখন মন্ত্রণালয় যদি উদ্যোগ নেয়, দরদাম কীভাবে নির্ধারণ হবে, তখন আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেব।’
চাঁদপুরের ডিসির পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে জুনে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করে। এরপর প্রধান উপদেষ্টার নীতিগত অনুমোদনের পর ২৬ জুন ফিরতি চিঠিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে ডিসিকে সেটি জানানো হয়। চাঁদপুর ছাড়াও বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও সাগর বা নদীতে উৎপাদন খরচ ছাড়া ধরা পড়া ইলিশের দাম সবসময়ই চড়া থাকে। ফলে, নিম্ন বা মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে ইলিশ অধরাই থাকে। দাম নির্ধারিত হলে সে সংকট কেটে যেতে পারে।
গত ৩০ জুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশের মূল্য ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং দাম বৃদ্ধির পেছনের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে পারলে তাতে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করা যায়।’