বিদায় নেওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস গত সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬ এর প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের গতি।
এর আগ গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও শেষ চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে দ্বিতীয় কার্যদিবস বা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলি ডে’র কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি।
অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবস বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি ডিএসইতে সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৫টি শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪১টির দাম কমেছে এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১৬টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে চারটির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে ৪৭৯ কোটি ৫২ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৫৩ টাকার।
এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিচ হ্যাচারি। কোম্পানিটির ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেম শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
বিদায় নেওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস গত সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬ এর প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের গতি।
এর আগ গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও শেষ চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে দ্বিতীয় কার্যদিবস বা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলি ডে’র কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি।
অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবস বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি ডিএসইতে সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৫টি শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪১টির দাম কমেছে এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১৬টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে চারটির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে ৪৭৯ কোটি ৫২ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৫৩ টাকার।
এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিচ হ্যাচারি। কোম্পানিটির ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেম শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।