২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে প্রতি ১০০ টাকা রাজস্ব আদায়ে এনবিআর ব্যয় করেছে ০ দশমিক ৩০ টাকা বা ৩০ পয়সা। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে চ্যালেঞ্জ ছিল ২২টি। যার মধ্যে ৫টি বাহ্যিক আর ১৭টি অভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে ছিল- আন্তর্জাতিক মুদ্রার/রিজার্ভের স্বল্পপ্রবাহ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্যমূল্য হ্রাস-বৃদ্ধিজনিত অস্থিরতা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণার প্রবণতা, আন্তঃসংস্থা সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা ও স্বেচ্ছা পরিপালনের অভাব।
আর অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে ছিল- পর্যাপ্ত ডিজিটালাইজেশন কিংবা অটোমেশনের সীমাবদ্ধতা, প্রশিক্ষক ও পর্যাপ্ত মানবসম্পদের অপ্রতুলতা, সঠিক ও যথাযথভাবে কর নির্ধারণ, ভৌত অবকাঠামো ও লজিস্টিকস সীমাবদ্ধতা, আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অপর্যাপ্ত প্রয়োগ, আধুনিক পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটের স্বল্প প্রয়োগ, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা।
এছাড়া সহযোগী দপ্তরগুলোর কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব, কাঠামোবদ্ধ পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণের অভাব, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাছে বকেয়া পাওনার দীর্ঘসূত্রতা, করের আওতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নতুন করদাতাদের তথ্যের অপ্রতুলতা, করদাতা অনুপাতে কর অফিসে জনবল স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও অবকাঠামোর অভাব, ডিজিটাল অর্থনীতি করের আওতায় আনার বিষয়ে সক্ষমতার অভাব, আন্তঃকর ব্যবস্থাপনায় তথ্য বিনিময়ের অপ্রতুলতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ওই অর্থবছর অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভাবনাও রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ২ হাজার ৪৭৫ জন। যার মধ্যে কোম্পানি করদাতার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৩ জন।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে প্রতি ১০০ টাকা রাজস্ব আদায়ে এনবিআর ব্যয় করেছে ০ দশমিক ৩০ টাকা বা ৩০ পয়সা। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে চ্যালেঞ্জ ছিল ২২টি। যার মধ্যে ৫টি বাহ্যিক আর ১৭টি অভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে ছিল- আন্তর্জাতিক মুদ্রার/রিজার্ভের স্বল্পপ্রবাহ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্যমূল্য হ্রাস-বৃদ্ধিজনিত অস্থিরতা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণার প্রবণতা, আন্তঃসংস্থা সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা ও স্বেচ্ছা পরিপালনের অভাব।
আর অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে ছিল- পর্যাপ্ত ডিজিটালাইজেশন কিংবা অটোমেশনের সীমাবদ্ধতা, প্রশিক্ষক ও পর্যাপ্ত মানবসম্পদের অপ্রতুলতা, সঠিক ও যথাযথভাবে কর নির্ধারণ, ভৌত অবকাঠামো ও লজিস্টিকস সীমাবদ্ধতা, আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অপর্যাপ্ত প্রয়োগ, আধুনিক পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটের স্বল্প প্রয়োগ, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা।
এছাড়া সহযোগী দপ্তরগুলোর কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব, কাঠামোবদ্ধ পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণের অভাব, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাছে বকেয়া পাওনার দীর্ঘসূত্রতা, করের আওতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নতুন করদাতাদের তথ্যের অপ্রতুলতা, করদাতা অনুপাতে কর অফিসে জনবল স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও অবকাঠামোর অভাব, ডিজিটাল অর্থনীতি করের আওতায় আনার বিষয়ে সক্ষমতার অভাব, আন্তঃকর ব্যবস্থাপনায় তথ্য বিনিময়ের অপ্রতুলতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ওই অর্থবছর অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভাবনাও রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ২ হাজার ৪৭৫ জন। যার মধ্যে কোম্পানি করদাতার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৩ জন।