২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের সহায়তায় ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে দেবে ১৪ কোটি টাকা, আর বাকি ১১ কোটি টাকা দেবে ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক—প্রতিটি ১ কোটি টাকা করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ উদ্যোগের কথা জানান। এর আগে তহবিলে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন তিনি। ব্যাংকগুলোর প্রত্যেকটিই সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব উদ্যোগ। যুদ্ধাহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
গভর্নরের সঙ্গে এটিই ছিল চলতি বছরের প্রথম ব্যাংকার্স মিটিং। এর আগে সর্বশেষ এমন বৈঠক হয়েছিল ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর।
বৈঠক শেষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য গঠিত এই তহবিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও অংশ নিচ্ছে। এটি ব্যাংক খাতের মানবিক ভূমিকার পরিচায়ক।”
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আন্ডার ইনভয়েসিং, রপ্তানি আয় ফেরত না আসা, ও অর্থপাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা তহবিল গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রের বিকল্প হিসেবে জনগণকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নীতিসুদহার কমানো যেতে পারে—বৈঠকে এমন আভাসও দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যেন মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে পারে।
গভর্নর আহসান মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালক এবং ব্যাংক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের সহায়তায় ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে দেবে ১৪ কোটি টাকা, আর বাকি ১১ কোটি টাকা দেবে ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক—প্রতিটি ১ কোটি টাকা করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ উদ্যোগের কথা জানান। এর আগে তহবিলে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন তিনি। ব্যাংকগুলোর প্রত্যেকটিই সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব উদ্যোগ। যুদ্ধাহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
গভর্নরের সঙ্গে এটিই ছিল চলতি বছরের প্রথম ব্যাংকার্স মিটিং। এর আগে সর্বশেষ এমন বৈঠক হয়েছিল ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর।
বৈঠক শেষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য গঠিত এই তহবিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও অংশ নিচ্ছে। এটি ব্যাংক খাতের মানবিক ভূমিকার পরিচায়ক।”
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আন্ডার ইনভয়েসিং, রপ্তানি আয় ফেরত না আসা, ও অর্থপাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা তহবিল গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রের বিকল্প হিসেবে জনগণকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নীতিসুদহার কমানো যেতে পারে—বৈঠকে এমন আভাসও দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যেন মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে পারে।
গভর্নর আহসান মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালক এবং ব্যাংক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা।