নথিপত্র গায়েব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৫ থেকে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গতকাল বুধবার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানায়, অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়— ২০২২-২০২৩ করবর্ষের মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্ট্রারে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যথাক্রমে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ করবর্ষের মামলা দুটির বিপরীতে তৎকালীন কর কর্মকর্তা নিরুপিত আয়ের বিপরীতে কর দাবির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭২ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬২ টাকা ও ৭৩ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯০ টাকা।
সবমিলিয়ে মোট ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পূর্বের কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নথিতে রক্ষিত কর নির্ধারণী আদেশ পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে কর দাবির পরিমাণ কমিয়ে যথাক্রমে ০ (শূন্য) টাকা ও ১ হাজার ২৯৯ টাকা করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে সরাসরি সহায়তা করেন। একই সঙ্গে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা কর নির্ধারণকারীর আদেশের নথি গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। দুদকের অভিযানেও ওই নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গায়েব করা হয়েছে। এসব অনিয়মের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে গতকাল বুধবার এনবিআরের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর মওকুফ করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধন এবং জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনফোর্সমেন্ট টিম মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসকে দলিল যাচাইয়ের জন্য অনুরোধ করে। পরবর্তী সময়ে ভূমি অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য মোহাম্মদপুরের এলাকা পরিদর্শন করা হয়। শিগগিরই রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে দুদক জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
নথিপত্র গায়েব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৫ থেকে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গতকাল বুধবার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানায়, অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়— ২০২২-২০২৩ করবর্ষের মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্ট্রারে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যথাক্রমে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ করবর্ষের মামলা দুটির বিপরীতে তৎকালীন কর কর্মকর্তা নিরুপিত আয়ের বিপরীতে কর দাবির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭২ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬২ টাকা ও ৭৩ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯০ টাকা।
সবমিলিয়ে মোট ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পূর্বের কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নথিতে রক্ষিত কর নির্ধারণী আদেশ পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে কর দাবির পরিমাণ কমিয়ে যথাক্রমে ০ (শূন্য) টাকা ও ১ হাজার ২৯৯ টাকা করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে সরাসরি সহায়তা করেন। একই সঙ্গে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা কর নির্ধারণকারীর আদেশের নথি গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। দুদকের অভিযানেও ওই নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গায়েব করা হয়েছে। এসব অনিয়মের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে গতকাল বুধবার এনবিআরের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর মওকুফ করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধন এবং জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনফোর্সমেন্ট টিম মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসকে দলিল যাচাইয়ের জন্য অনুরোধ করে। পরবর্তী সময়ে ভূমি অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য মোহাম্মদপুরের এলাকা পরিদর্শন করা হয়। শিগগিরই রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে দুদক জানিয়েছে।