পতন থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়ছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় দুইশ’ পয়েন্ট বা সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় দুইশ পয়েন্ট বা সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে ছয়’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৪টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এর আগে গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে।
ওই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা এবং ঈদের পর প্রথম সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫২ কোটি টাকা। তার পরের সপ্তাহে বাড়ে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বাড়ে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ টানা পাঁচ সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ২৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৬১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ৭১ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ৪২৯ পয়েন্ট।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ৩২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, অগ্নি সিস্টেম, সিটি ব্যাংক এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
পতন থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়ছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় দুইশ’ পয়েন্ট বা সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় দুইশ পয়েন্ট বা সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠান। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে ছয়’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৪টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এর আগে গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে।
ওই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা এবং ঈদের পর প্রথম সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫২ কোটি টাকা। তার পরের সপ্তাহে বাড়ে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বাড়ে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ টানা পাঁচ সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ২৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৬১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ৭১ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ৪২৯ পয়েন্ট।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। তার আগের তিন সপ্তাহে বাড়ে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ৩২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, অগ্নি সিস্টেম, সিটি ব্যাংক এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।