alt

অর্থ-বাণিজ্য

২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ হবে সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে আগামী বছর ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচিত সরকারের কাঁধে শুরুতেই বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা চাপবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ লাখ

১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ লাখ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তিন বছর মেয়াদি মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে অর্থ বিভাগ প্রাক্কলন করেছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ লাখ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তার পরের বছর শেষে ঋণ ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

অর্থ বিভাগ যখন এই প্রাক্কলন করছে, তখন দেশের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ভালো নয়। রাজস্ব-জিডিপির হার ৮ শতাংশের ঘরে। আবার ২০২৬ সালের শেষে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তখন বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে উচ্চ সুদে। ঋণ পরিশোধের সময়ও কমবে অর্থাৎ স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ আর পাওয়া যাবে না।

অর্থ বিভাগের নীতি-বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের ঋণের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জন্য ঋণে স্থিতি প্রাক্কলন করা হয় ২২ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধন করে ২১ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে।

বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিগত সরকারের রেখে যাওয়া সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।’

নীতি-বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপির অনুপাত এখন পর্যন্ত সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। এ পর্যন্ত বৈদেশিক ও সামগ্রিক ঋণ ‘নি¤œ ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থানে রয়েছে। তবে বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, বহিঃশক অর্থাৎ বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি হওয়া চাপের কারণে আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে।

এদিকে সদ্য প্রকাশিত সরকারের মধ্যমেয়াদি (২০২৫-২৬ থেকে ২০২৬-২৭) ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, পরিমাণ বেশি হওয়ায় নিম্ন থেকে প্রায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিদ্যমান বাস্তবতায় অর্থ বিভাগের বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে, বৈদেশিক ঋণ ও রপ্তানি অনুপাত। অর্থ বিভাগ বলছে, এ অনুপাত এখন ১৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে না পারলে মধ্য মেয়াদে ঋণ ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে গত আগস্টে সরকার বদলের পর অন্তর্বর্তী সরকার সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য জিডিপির প্রাক্কলন করেছে ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের ঋণ-জিডিপির অনুপাত ছিল ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। পরের বছর মূল বাজেটে তা বেড়ে ৩৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়। যদিও সংশোধিত বাজেটে অন্তর্বর্তী সরকার তা কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। নীতি-বিবৃতির প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর থেকে ঋণ-জিডিপির অনুপাত একটু একটু করে বাড়বে। যেমন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাড়ে ৩৭ শতাংশ, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩৭ দশমিক ৬৩ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে তা বেড়ে হবে ৩৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।

নীতি-বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধ করা হয় ২০২ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছর শেষে তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬১ কোটি ডলারে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২৯০ কোটি, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩১২ কোটি এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৩৩৪ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে। বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল যোগ করলে এ অঙ্ক আরও বাড়বে।

ছবি

“বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়, সত্য বলুন”—মোবাইল কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে তৈয়্যব

‘সিন্ডিকেটের কবজায়’ এয়ারলাইন্সের টিকেট, অভিযোগ অ্যাটাবের

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

ছবি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে

১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনে যোগ হলো শেয়ারবাজারে

ছবি

চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ডলার ছাড়ালো

ছবি

বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো টেকনো স্পার্ক ৪০ এবং স্পার্ক ৪০ প্রো

ছবি

বাজারে লেনোভোর আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের নতুন পাঁচটি ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

পাল্টা শুল্ক নিয়ে চার উপদেষ্টাকে উদ্বেগ জানালেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ

আমদানিপণ্য দ্রুত খালাসের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

আবুল বারকাতকে রিমান্ডে চেয়ে দুদকের আবেদন, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হলো

ছবি

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে

ছবি

বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ‘ফিকশন’ পাওয়া গেছে: গভর্নর

ছবি

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্টআপ তহবিল: বয়সের ঊর্ধ্বসীমা উঠে গেল

হাউজ লোন ও ক্রেডিট কার্ড ঋণের সীমা বাড়ছে

সরকারি দফতরে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফর বন্ধ করা হলো

বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ

ছবি

চীনে বিডা’র অফিস খোলার পরিকল্পনা চলছে: আশিক চৌধুরী

দুই বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ

ছবি

আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক নয়, সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

সততা-দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে কোনো ভয় নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

জুলাইয়ের ৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১২৫ কোটি টাকা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

জুলাই হতাহতদের সহায়তায় ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

বাণিজ্য রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ হবে সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে আগামী বছর ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচিত সরকারের কাঁধে শুরুতেই বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা চাপবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ লাখ

১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ লাখ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তিন বছর মেয়াদি মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে অর্থ বিভাগ প্রাক্কলন করেছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ লাখ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তার পরের বছর শেষে ঋণ ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

অর্থ বিভাগ যখন এই প্রাক্কলন করছে, তখন দেশের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ভালো নয়। রাজস্ব-জিডিপির হার ৮ শতাংশের ঘরে। আবার ২০২৬ সালের শেষে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তখন বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে উচ্চ সুদে। ঋণ পরিশোধের সময়ও কমবে অর্থাৎ স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ আর পাওয়া যাবে না।

অর্থ বিভাগের নীতি-বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের ঋণের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জন্য ঋণে স্থিতি প্রাক্কলন করা হয় ২২ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধন করে ২১ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে।

বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিগত সরকারের রেখে যাওয়া সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।’

নীতি-বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপির অনুপাত এখন পর্যন্ত সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। এ পর্যন্ত বৈদেশিক ও সামগ্রিক ঋণ ‘নি¤œ ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থানে রয়েছে। তবে বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, বহিঃশক অর্থাৎ বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি হওয়া চাপের কারণে আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে।

এদিকে সদ্য প্রকাশিত সরকারের মধ্যমেয়াদি (২০২৫-২৬ থেকে ২০২৬-২৭) ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, পরিমাণ বেশি হওয়ায় নিম্ন থেকে প্রায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিদ্যমান বাস্তবতায় অর্থ বিভাগের বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে, বৈদেশিক ঋণ ও রপ্তানি অনুপাত। অর্থ বিভাগ বলছে, এ অনুপাত এখন ১৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে না পারলে মধ্য মেয়াদে ঋণ ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে গত আগস্টে সরকার বদলের পর অন্তর্বর্তী সরকার সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য জিডিপির প্রাক্কলন করেছে ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের ঋণ-জিডিপির অনুপাত ছিল ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। পরের বছর মূল বাজেটে তা বেড়ে ৩৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়। যদিও সংশোধিত বাজেটে অন্তর্বর্তী সরকার তা কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। নীতি-বিবৃতির প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর থেকে ঋণ-জিডিপির অনুপাত একটু একটু করে বাড়বে। যেমন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাড়ে ৩৭ শতাংশ, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩৭ দশমিক ৬৩ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে তা বেড়ে হবে ৩৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।

নীতি-বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধ করা হয় ২০২ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছর শেষে তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬১ কোটি ডলারে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২৯০ কোটি, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩১২ কোটি এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৩৩৪ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে। বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল যোগ করলে এ অঙ্ক আরও বাড়বে।

back to top