মোবাইল ফোনের সেবার মান ও দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোবাইল অপারেটরদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, সিমের ওপর কর বৃদ্ধিকে গ্রাহক কমার কারণ হিসেবে দেখানো খুবই ‘বাজে যুক্তি’।
তিনি বলেন, “গ্রাহকরা মনে করেন সেবার মান খারাপ, দামও বেশি। ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিলে লোকেরা ইন্টারনেটের দাম কেন কমানো যাচ্ছে না, তা নিয়ে আমাকে আক্রমণ করে।”
শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং অবকাঠামো’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। টেলিকম ও প্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এ বৈঠকের আয়োজন করে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটির যে সুযোগ দিয়েছে, কোম্পানিগুলো তা স্বীকার না করে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছে।
বৈঠকে বক্তব্যের সময় মোবাইল অপারেটর রবির মূল কোম্পানির এক কর্মকর্তা নীতিমালা নিয়ে কথা বলা শুরু করলে কিছুটা রেগে গিয়ে ফয়েজ তৈয়্যব তাকে থামিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন।
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে আপনারা ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপিংয়ের মাধ্যমে কী অর্জন করেছেন? ভারতীয় অপারেটরদের মালিকানা কাদের হাতে? বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো করা কোম্পানিরও ৩৪ শতাংশ স্থানীয় শেয়ার আছে। একটেল যখন ছিল, তখন ভালো চলছিল। শতভাগ বিদেশি মালিকানায় গেলে লোকসান শুরু হয়। বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগের মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।”
ফয়েজ তৈয়্যব আরও বলেন, সরকারের নীতিমালা কোনো বাধ্যবাধকতা নয়, বরং পরামর্শ। “গত ১৫ বছর যে নীতি ছিল, তাতে ভালো কিছু আসেনি। আমরা নতুন নীতি আনছি। এগুলো আইন নয়। স্থানীয় অংশীদারিত্ব বাড়লে স্থানীয় উদ্ভাবনও বাড়বে।”
তিনি বলেন, “মুনাফা কমছে, গ্রাহকরা সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। দাম বেশি, মান খারাপ। সিম কর বৃদ্ধির ব্যাখ্যা খুবই বাজে। সেবার মান বাড়াতে হবে। আমি ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতে পারি না, সব প্রশ্ন ইন্টারনেটের দাম ও মান নিয়ে আসে।”
ডার্ক ফাইবার ও ডিডব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে প্রশংসা না করে শুধু অভিযোগ করছেন। বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছেন।”
তিনি বলেন, “আমি বিগত স্বৈরাচার সরকারের কোনো নীতিকে সমর্থন করি না। সেগুলো খারিজ করে নতুন নীতি করছি।”
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, মোবাইল কোম্পানিগুলোর সিইও ও অন্যান্য খাত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
মোবাইল ফোনের সেবার মান ও দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোবাইল অপারেটরদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, সিমের ওপর কর বৃদ্ধিকে গ্রাহক কমার কারণ হিসেবে দেখানো খুবই ‘বাজে যুক্তি’।
তিনি বলেন, “গ্রাহকরা মনে করেন সেবার মান খারাপ, দামও বেশি। ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিলে লোকেরা ইন্টারনেটের দাম কেন কমানো যাচ্ছে না, তা নিয়ে আমাকে আক্রমণ করে।”
শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং অবকাঠামো’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। টেলিকম ও প্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এ বৈঠকের আয়োজন করে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটির যে সুযোগ দিয়েছে, কোম্পানিগুলো তা স্বীকার না করে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছে।
বৈঠকে বক্তব্যের সময় মোবাইল অপারেটর রবির মূল কোম্পানির এক কর্মকর্তা নীতিমালা নিয়ে কথা বলা শুরু করলে কিছুটা রেগে গিয়ে ফয়েজ তৈয়্যব তাকে থামিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন।
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে আপনারা ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপিংয়ের মাধ্যমে কী অর্জন করেছেন? ভারতীয় অপারেটরদের মালিকানা কাদের হাতে? বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো করা কোম্পানিরও ৩৪ শতাংশ স্থানীয় শেয়ার আছে। একটেল যখন ছিল, তখন ভালো চলছিল। শতভাগ বিদেশি মালিকানায় গেলে লোকসান শুরু হয়। বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগের মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।”
ফয়েজ তৈয়্যব আরও বলেন, সরকারের নীতিমালা কোনো বাধ্যবাধকতা নয়, বরং পরামর্শ। “গত ১৫ বছর যে নীতি ছিল, তাতে ভালো কিছু আসেনি। আমরা নতুন নীতি আনছি। এগুলো আইন নয়। স্থানীয় অংশীদারিত্ব বাড়লে স্থানীয় উদ্ভাবনও বাড়বে।”
তিনি বলেন, “মুনাফা কমছে, গ্রাহকরা সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। দাম বেশি, মান খারাপ। সিম কর বৃদ্ধির ব্যাখ্যা খুবই বাজে। সেবার মান বাড়াতে হবে। আমি ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতে পারি না, সব প্রশ্ন ইন্টারনেটের দাম ও মান নিয়ে আসে।”
ডার্ক ফাইবার ও ডিডব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে প্রশংসা না করে শুধু অভিযোগ করছেন। বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছেন।”
তিনি বলেন, “আমি বিগত স্বৈরাচার সরকারের কোনো নীতিকে সমর্থন করি না। সেগুলো খারিজ করে নতুন নীতি করছি।”
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, মোবাইল কোম্পানিগুলোর সিইও ও অন্যান্য খাত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।