টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় থাকার পরও কমেছে মূল্যসূচক।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ব্যাংক টেনে মূল্যসূচক নামালেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত লেনদেন হওয়া সাত কার্যদিবসেই সিএসইতে মূল্যসূচক বাড়লো। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ ব্যাংক। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক পয়ে পড়ে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যায়।
তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর ব্যাংকসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। এতে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে আবার দাম কমার তালিকায় চলে যায় বেশিরভাগ ব্যাংক।
এতে দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমায় মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭০টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ২৪টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার বিপরীতে মাত্র সাতটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। এদিকে, ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৯৬টির দাম কমেছে এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪২টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। বাজারটিতে ৬৬৫ কোটি ৯৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৯ কোটি ২ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিটি ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্ট, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং টেকনো ড্রাগস।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় থাকার পরও কমেছে মূল্যসূচক।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ব্যাংক টেনে মূল্যসূচক নামালেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত লেনদেন হওয়া সাত কার্যদিবসেই সিএসইতে মূল্যসূচক বাড়লো। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ ব্যাংক। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক পয়ে পড়ে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যায়।
তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর ব্যাংকসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। এতে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে আবার দাম কমার তালিকায় চলে যায় বেশিরভাগ ব্যাংক।
এতে দাম বাড়ার তালিকা বড় হলেও অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমায় মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭০টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ২৪টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার বিপরীতে মাত্র সাতটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। এদিকে, ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৯৬টির দাম কমেছে এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪২টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। বাজারটিতে ৬৬৫ কোটি ৯৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৯ কোটি ২ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিটি ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্ট, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং টেকনো ড্রাগস।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।