গত অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় নতুন অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিটেন্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ১০৭ কোটি ৫ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা টাকা দিচ্ছে এখন ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে জুলাইয়ের ১২ দিনে ১৩ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ১০৭ কোটি ৫ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা টাকা দিচ্ছে এখন ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে জুলাইয়ের ১২ দিনে ১৩ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। মাসের বাকি ১৯ দিনে (১৩ থেকে ৩১ জুলাই) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিটেন্সের অঙ্ক ২৭৬ কোটি ৫৫ লাখ (২.৭৬ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে।
দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। বলা যায়, সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছে রেমিটেন্স। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩ হাজার ৩২ কোটি ৭৫ লাখ (৩০.৩৩ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা যা আগের অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। প্রতি মাসের গড় হিসাবে এসেছে ২৫১ কোটি ৯৮ লাখ (২.৫২ বিলিয়ন) ডলার।
রোজা ও ঈদ সামনে রেখে গত মার্চে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ (৩.২৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স আসে দেশে, যা ছিল গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ৬৫ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৬ কোটি ৯৬ লাখ (২.৯৭ বিলিয়ন) ডলার আসে গত মে মাসে। তৃতীয় সর্বোচ্চ আসে গত অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে- ২৮২ কোটি ১২ লাখ (২.৮২ বিলিয়ন) ডলার। চতুর্থ সর্বোচ্চ আসে এপ্রিল মাসে- ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ (২.৭৫ বিলিয়ন) ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থ বছর শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই থেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ওই মাস ছিল উত্তাল। দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক দিন ব্যাংক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সে কারণে জুলাই মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছিল। এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ কোটি (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার। তার আগের তিন মাস অবশ্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি এসেছিল। আবার জুলাইয়ের পর থেকে প্রতি মাসেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার।
অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২.৪০ বিলিয়ন) ডলার। চতুর্থ মাস অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার। পঞ্চম মাস নভেম্বরে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলার। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২ মাসের ১১ মাসেই (আগস্ট-জুন) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে। এক মাসে (মার্চ) এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ২২ লাখ (২৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসেছিল ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
আর এই রেমিটেন্সের উপর ভর করে বেশ কিছুদিন ধরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকা অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও সন্তোষজনক অবস্থায় অবস্থান করছে। এমনকি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি বিল পরিশোধের পরও বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ সাড়ে ২৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের অবস্থান করছে। গ্রস বা মোট হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ শেষ তথ্যে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। গ্রস হিসাবে ছিল ২৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। গত ৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আকুর মে-জুন মেয়াদের ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করে। এর পর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। গ্রস হিসাবে নামে ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
আকুর দেনা শোধের আগে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। আর গ্রস হিসাবে ছিল ৩১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির সামর্থ্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলছে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় থেকেই। অভ্যুত্থানের পর গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও উদ্বেগ কাটছিল না। তবে ১১ মাস পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় এবং বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবিসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার বাজেট সহায়তার ঋণে রিজার্ভ স্বস্তিকর জায়গায় এসেছে।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
গত অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় নতুন অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিটেন্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ১০৭ কোটি ৫ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা টাকা দিচ্ছে এখন ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে জুলাইয়ের ১২ দিনে ১৩ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ১০৭ কোটি ৫ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা টাকা দিচ্ছে এখন ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে জুলাইয়ের ১২ দিনে ১৩ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। মাসের বাকি ১৯ দিনে (১৩ থেকে ৩১ জুলাই) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিটেন্সের অঙ্ক ২৭৬ কোটি ৫৫ লাখ (২.৭৬ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে।
দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। বলা যায়, সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছে রেমিটেন্স। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩ হাজার ৩২ কোটি ৭৫ লাখ (৩০.৩৩ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা যা আগের অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। প্রতি মাসের গড় হিসাবে এসেছে ২৫১ কোটি ৯৮ লাখ (২.৫২ বিলিয়ন) ডলার।
রোজা ও ঈদ সামনে রেখে গত মার্চে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ (৩.২৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স আসে দেশে, যা ছিল গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ৬৫ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৬ কোটি ৯৬ লাখ (২.৯৭ বিলিয়ন) ডলার আসে গত মে মাসে। তৃতীয় সর্বোচ্চ আসে গত অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে- ২৮২ কোটি ১২ লাখ (২.৮২ বিলিয়ন) ডলার। চতুর্থ সর্বোচ্চ আসে এপ্রিল মাসে- ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ (২.৭৫ বিলিয়ন) ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থ বছর শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই থেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ওই মাস ছিল উত্তাল। দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক দিন ব্যাংক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সে কারণে জুলাই মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছিল। এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ কোটি (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার। তার আগের তিন মাস অবশ্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি এসেছিল। আবার জুলাইয়ের পর থেকে প্রতি মাসেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার।
অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২.৪০ বিলিয়ন) ডলার। চতুর্থ মাস অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার। পঞ্চম মাস নভেম্বরে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলার। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২ মাসের ১১ মাসেই (আগস্ট-জুন) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে। এক মাসে (মার্চ) এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ২২ লাখ (২৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসেছিল ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
আর এই রেমিটেন্সের উপর ভর করে বেশ কিছুদিন ধরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকা অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও সন্তোষজনক অবস্থায় অবস্থান করছে। এমনকি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি বিল পরিশোধের পরও বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ সাড়ে ২৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের অবস্থান করছে। গ্রস বা মোট হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ শেষ তথ্যে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। গ্রস হিসাবে ছিল ২৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। গত ৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আকুর মে-জুন মেয়াদের ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করে। এর পর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। গ্রস হিসাবে নামে ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
আকুর দেনা শোধের আগে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। আর গ্রস হিসাবে ছিল ৩১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির সামর্থ্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলছে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় থেকেই। অভ্যুত্থানের পর গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও উদ্বেগ কাটছিল না। তবে ১১ মাস পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় এবং বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবিসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার বাজেট সহায়তার ঋণে রিজার্ভ স্বস্তিকর জায়গায় এসেছে।