জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে রাজস্ব আদায়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
নয় সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে। সদস্য সচিব হয়েছেন প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব। এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এনবিআর, বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন কমিটিতে।
আদেশে বলা হয়, এনবিআর কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচির কারণে রাজস্ব খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, গত ২৮-২৯ জুন ২ দিন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অফিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ দুই মাস কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি পালনের কারণে সকল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/অনান্য দপ্তরের [কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটসহ] এবং কর অঞ্চলসমূহে রাজস্ব ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী কর্মসূচির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সকল স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার।
এনবিআরকে বিভক্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের বিরুদ্ধে গত মে মাস থেকে আন্দোলনে নামে কর্মকর্তারা। সরকারের প্রতিশ্রুত সংশোধনী আসার আগেই এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ আরও দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৮ জুন দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে এনবিআর কর্মীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ জাতীয় রাজস্ব আদায়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে এনবিআরের কার্যক্রমকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে শাটডাউন প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যস্থতায় শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানসহ একের পর এক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এখন ক্ষতির আনুষ্ঠানিক হিসাব করতে মাঠে নামছে নতুন গঠিত এই কমিটি।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে রাজস্ব আদায়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
নয় সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে। সদস্য সচিব হয়েছেন প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব। এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এনবিআর, বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন কমিটিতে।
আদেশে বলা হয়, এনবিআর কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচির কারণে রাজস্ব খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, গত ২৮-২৯ জুন ২ দিন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অফিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ দুই মাস কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি পালনের কারণে সকল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/অনান্য দপ্তরের [কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটসহ] এবং কর অঞ্চলসমূহে রাজস্ব ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী কর্মসূচির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সকল স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার।
এনবিআরকে বিভক্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের বিরুদ্ধে গত মে মাস থেকে আন্দোলনে নামে কর্মকর্তারা। সরকারের প্রতিশ্রুত সংশোধনী আসার আগেই এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ আরও দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৮ জুন দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে এনবিআর কর্মীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ জাতীয় রাজস্ব আদায়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে এনবিআরের কার্যক্রমকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে শাটডাউন প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যস্থতায় শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানসহ একের পর এক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এখন ক্ষতির আনুষ্ঠানিক হিসাব করতে মাঠে নামছে নতুন গঠিত এই কমিটি।