জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ দাবির মধ্যে জারি করা সবশেষ দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় এবার আরও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব উম্মে আয়মান কাশমীর সই করা চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বরখাস্ত সাতজন হলেন- কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান হোসেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ঢাকার কর পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন সাথী ও রৌশনারা আক্তার, কর অঞ্চল-১৪ এর প্রধান সহকারী বিএম সবুজ ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণের সিপাই সালেক খান।
গতকাল মঙ্গলবার একই অভিযোগে ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। তাদের মধ্যে দুপুরে আটজন ও রাতে ছয়জনকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে গত ২৪ জুন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলার মধ্যে গত ২২ জুন আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘তাৎক্ষণিক বদলি’ করা হয়। এর মধ্যে দুজন আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের, একজন এনবিআর বোর্ড অফিসের এবং বাকি দুজন ঢাকা ও কুমিল্লার কর অঞ্চলের।
কর প্রশাসনের এক আদেশে বলা হয়, উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে বদলি করে ময়মনসিংহ কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলামকে ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ থেকে খুলনা কর অঞ্চলে এবং উপ-কর কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফকে বোর্ড থেকে সরিয়ে বদলি করা হয়েছে বগুড়া কর অঞ্চলে। এছাড়া উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিলকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে কুমিল্লা কর অঞ্চলে এবং উপ-কর কমিশনার নুসরাত জাহান শমীকে কুমিল্লা কর অঞ্চল থেকে রংপুর কর অঞ্চলে পাঠানো হয়। এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলন গত ২৯ জুন স্থগিত হয়। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এনবিআরের চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এছাড়া ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ দাবির মধ্যে জারি করা সবশেষ দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় এবার আরও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব উম্মে আয়মান কাশমীর সই করা চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বরখাস্ত সাতজন হলেন- কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান হোসেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ঢাকার কর পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন সাথী ও রৌশনারা আক্তার, কর অঞ্চল-১৪ এর প্রধান সহকারী বিএম সবুজ ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণের সিপাই সালেক খান।
গতকাল মঙ্গলবার একই অভিযোগে ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। তাদের মধ্যে দুপুরে আটজন ও রাতে ছয়জনকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে গত ২৪ জুন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলার মধ্যে গত ২২ জুন আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘তাৎক্ষণিক বদলি’ করা হয়। এর মধ্যে দুজন আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের, একজন এনবিআর বোর্ড অফিসের এবং বাকি দুজন ঢাকা ও কুমিল্লার কর অঞ্চলের।
কর প্রশাসনের এক আদেশে বলা হয়, উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে বদলি করে ময়মনসিংহ কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলামকে ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ থেকে খুলনা কর অঞ্চলে এবং উপ-কর কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফকে বোর্ড থেকে সরিয়ে বদলি করা হয়েছে বগুড়া কর অঞ্চলে। এছাড়া উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিলকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে কুমিল্লা কর অঞ্চলে এবং উপ-কর কমিশনার নুসরাত জাহান শমীকে কুমিল্লা কর অঞ্চল থেকে রংপুর কর অঞ্চলে পাঠানো হয়। এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলন গত ২৯ জুন স্থগিত হয়। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এনবিআরের চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এছাড়া ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।