চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস জানুয়ারি-জুনে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে গ্রামীণফোন বা জিপি। এই সময়ে কোম্পানিটি আয় করেছে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। সেই আয় থেকে সব ধরনের খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
গত বুধবার জিপির পরিচালনা পর্ষদের সভায় অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। পর্ষদের অনুমোদনের পর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির মুনাফাসহ আর্থিক প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর তথ্য ও কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির গত ছয় মাসের আয় ও মুনাফার চিত্র পাওয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১৮ কোটি টাকা বা প্রায় পৌনে ৩ শতাংশ কমেছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি আয় করেছিল ৮ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তা কমে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকায় নেমেছে। আয় কমে যাওয়ায় মুনাফাও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের কর–পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে জিপির মুনাফা ৬৮৬ কোটি টাকা বা ৩১ শতাংশের বেশি কমেছে।
চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস জানুয়ারি–জুনে গ্রামীণফোন ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা আয় করেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মুনাফা কমে যাওয়ার পেছনে কারণ ছিল কোম্পানিটির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে বেড়েছে কর বাবদ খরচও। গত জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছয় মাসে গ্রামীণফোন সরকারকে কর বাবদ পরিশোধ করেছে ৯৯২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি কর বাবদ খরচ করেছিল ৭৬৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কর বাবদ কোম্পানিটির খরচ বেড়েছে ২২৬ কোটি টাকা। কোম্পানির আয় থেকে পরিচালন, বেতন–ভাতাসহ অন্যান্য খরচ বাদ দেওয়ার পর কর পরিশোধ করা হয়। তাই কর বাবদ কোনো কোম্পানির খরচ বাড়লে তাতে মুনাফায় হেরফের ঘটে।
এদিকে গত ছয় মাসের মুনাফার ওপর ভিত্তি করে শেয়ারধারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটি বছরের প্রথমার্ধের জন্য ১১০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারের জন্য ১১ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বুধবারের সভায় লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটি লভ্যাংশ বাবদ বিতরণ করবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন জানিয়েছে, গত ছয় মাসে তারা যে মুনাফা করেছে তার ৯৮ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে কোম্পানিটি রেকর্ড লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারধারীদের। ওই বছর অন্তর্বর্তীকালীন ও চূড়ান্ত মিলিয়ে ৪ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছিল। বাকি ২ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল বছর শেষে চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে লভ্যাংশ হিসেবে কোম্পানিটি বিতরণ করবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস জানুয়ারি-জুনে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে গ্রামীণফোন বা জিপি। এই সময়ে কোম্পানিটি আয় করেছে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। সেই আয় থেকে সব ধরনের খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
গত বুধবার জিপির পরিচালনা পর্ষদের সভায় অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। পর্ষদের অনুমোদনের পর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির মুনাফাসহ আর্থিক প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর তথ্য ও কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির গত ছয় মাসের আয় ও মুনাফার চিত্র পাওয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১৮ কোটি টাকা বা প্রায় পৌনে ৩ শতাংশ কমেছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি আয় করেছিল ৮ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তা কমে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকায় নেমেছে। আয় কমে যাওয়ায় মুনাফাও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের কর–পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে জিপির মুনাফা ৬৮৬ কোটি টাকা বা ৩১ শতাংশের বেশি কমেছে।
চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস জানুয়ারি–জুনে গ্রামীণফোন ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা আয় করেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মুনাফা কমে যাওয়ার পেছনে কারণ ছিল কোম্পানিটির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে বেড়েছে কর বাবদ খরচও। গত জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছয় মাসে গ্রামীণফোন সরকারকে কর বাবদ পরিশোধ করেছে ৯৯২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি কর বাবদ খরচ করেছিল ৭৬৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কর বাবদ কোম্পানিটির খরচ বেড়েছে ২২৬ কোটি টাকা। কোম্পানির আয় থেকে পরিচালন, বেতন–ভাতাসহ অন্যান্য খরচ বাদ দেওয়ার পর কর পরিশোধ করা হয়। তাই কর বাবদ কোনো কোম্পানির খরচ বাড়লে তাতে মুনাফায় হেরফের ঘটে।
এদিকে গত ছয় মাসের মুনাফার ওপর ভিত্তি করে শেয়ারধারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটি বছরের প্রথমার্ধের জন্য ১১০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারের জন্য ১১ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বুধবারের সভায় লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটি লভ্যাংশ বাবদ বিতরণ করবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন জানিয়েছে, গত ছয় মাসে তারা যে মুনাফা করেছে তার ৯৮ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে কোম্পানিটি রেকর্ড লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারধারীদের। ওই বছর অন্তর্বর্তীকালীন ও চূড়ান্ত মিলিয়ে ৪ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছিল। বাকি ২ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল বছর শেষে চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে লভ্যাংশ হিসেবে কোম্পানিটি বিতরণ করবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।