alt

অর্থ-বাণিজ্য

স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি কমেছে ৭.৪২%

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি আরও কমেছে। এক বছরের ব্যবধানে মে শেষে স্বল্প মেয়াদে নেওয়া বিদেশি ঋণের স্থিতি কমেছে ৮২ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছর মে শেষে স্বল্প মেয়াদের বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের মে মাসে যা ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।

স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বলতে বোঝায় বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া এমন অর্থায়ন যার মেয়াদ এক বছরের কম।

এটি সাধারণত আমদানি পণ্যের অর্থ পরিশোধ, সেবা ক্রয় বা অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি আর্থিক চাহিদা পূরণের মত ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছর মে মাসে বেসরিকারি খাতের উদ্যোক্তারা স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় সুদ-আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১ দশমিক ৯৮বিলিয়ন ডলার।

অর্থাৎ মে মাসে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ যা এসেছে তার চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ হয়েছে বেশি।

আগের মাস এপ্রিলে ঋণ এসেছিল ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং পরিশোধ করা হয় মোট ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল শেষে স্থিতি দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়ান ফাউন্ডেশনের রিসার্চ বিভাগের পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ মাজেদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, যেহেতু অনেক দিন ধরে দেশে নির্বাচিত সরকার নেই, তাই ঋণ আসছে কম। নির্বাচিত সরকার এলে সেটা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “তাছাড়া আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন বিদেশি রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ডলার দরের স্থিতিশীলতাও বিবেচনা করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই দুই ধরণের সমস্যা রয়েছে।”

চলতি বছর জানুয়ারিতে চার বছর পর ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায় স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি। ওই মাস শেষে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোভিড মহামারীর মধ্যে তা ৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

গত বছরের জানুয়ারিতে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন এবং ১০ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছর এই দুই মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১১ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ও ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর প্রথম চার মাসে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ যা এসেছে, এর চেয়ে বেশি পরিশোধ করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে বিদেশি ঋণ এসেছে ৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

এসময়ে পরিশোধ করা হয় ৭ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। মে মাসেও এই ধারায় রয়েছে বিদেশি ঋণের স্থিতি।

ছবি

স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু, অফিসিয়াল রিসেলার বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড

৫ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে

ছবি

তুলাসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার

শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে

রেমিট্যান্স সেবায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিকাশের চুক্তি

ঢাকায় ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভিসার পেমেন্ট সেবা কর্মশালা

ছবি

দুর্বল রাজস্ব, মূল্যস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতিতে স্থবির অর্থনীতি

গ্রামীণফোন ৬ মাসে মুনাফা করেছে ১,৫১৩ কোটি টাকা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে সুইস দূতাবাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

চট্টগ্রামে নির্মিত টাগবোট যাচ্ছে আরব আমিরাতে

সিঙ্গার বাংলাদেশ ও বুয়েটের চুক্তি সই

বিনা মাসুলে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধা চালু করলো জনতা ব্যাংক

চতুর্থবারের মতো অনলাইন প্রপার্টি ফেয়ারের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিক্রয়

ছবি

তুলা আমদানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার করল সরকার

চলতি বছর প্রথমবার ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন

নীতিমালায় বৈষম্যের অভিযোগ: জনতা ব্যাংকে কর্মী অসন্তোষ

ছবি

কাঠামোগত ত্রুটির কারণে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চাপে থাকবে ব্যাংক খাত: এসঅ্যান্ডপি

রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

ছবি

পদত্যাগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমলো আরও

ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির মধ্যেও প্রত্যাশা ছাড়ালো চীনের প্রবৃদ্ধি

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আরও তিন কর পরিদর্শক বরখাস্ত

শুল্ক চাপে জুনে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানিতে জাপানের ভরাডুবি

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘আলীপুর উপশাখা’ উদ্বোধন

কমলো নীতি সুদহার, বাড়বে ঋণ প্রবাহ

ছবি

‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, বন্ধ থাকবে ব্যাংক

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পদত্যাগ

বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আরও ৭ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত

সাড়ে ১৫ হাজার আয়কর মামলা অডিট করবে এনবিআর

এনবিআরের আন্দোলনে ক্ষতি নিরূপণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি

এনবিআর চেয়ারম্যানকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মন্তব্য করায় নিরাপত্তা প্রহরী বরখাস্ত

বাজার স্থীতিশীল রাখতে দুই দিনে ৫০ কোটি ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

এনবিআর আন্দোলনে ক্ষতির হিসাব করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা

ছবি

টানা চার দিন কমার পর ডলারের দাম বাড়লো ১ টাকা ৪০ পয়সা

ছবি

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি কমেছে ৭.৪২%

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি আরও কমেছে। এক বছরের ব্যবধানে মে শেষে স্বল্প মেয়াদে নেওয়া বিদেশি ঋণের স্থিতি কমেছে ৮২ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছর মে শেষে স্বল্প মেয়াদের বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের মে মাসে যা ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।

স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বলতে বোঝায় বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া এমন অর্থায়ন যার মেয়াদ এক বছরের কম।

এটি সাধারণত আমদানি পণ্যের অর্থ পরিশোধ, সেবা ক্রয় বা অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি আর্থিক চাহিদা পূরণের মত ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছর মে মাসে বেসরিকারি খাতের উদ্যোক্তারা স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় সুদ-আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১ দশমিক ৯৮বিলিয়ন ডলার।

অর্থাৎ মে মাসে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ যা এসেছে তার চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ হয়েছে বেশি।

আগের মাস এপ্রিলে ঋণ এসেছিল ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং পরিশোধ করা হয় মোট ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল শেষে স্থিতি দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়ান ফাউন্ডেশনের রিসার্চ বিভাগের পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ মাজেদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, যেহেতু অনেক দিন ধরে দেশে নির্বাচিত সরকার নেই, তাই ঋণ আসছে কম। নির্বাচিত সরকার এলে সেটা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “তাছাড়া আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন বিদেশি রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ডলার দরের স্থিতিশীলতাও বিবেচনা করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই দুই ধরণের সমস্যা রয়েছে।”

চলতি বছর জানুয়ারিতে চার বছর পর ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায় স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি। ওই মাস শেষে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোভিড মহামারীর মধ্যে তা ৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

গত বছরের জানুয়ারিতে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন এবং ১০ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছর এই দুই মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১১ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ও ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর প্রথম চার মাসে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ যা এসেছে, এর চেয়ে বেশি পরিশোধ করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে বিদেশি ঋণ এসেছে ৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

এসময়ে পরিশোধ করা হয় ৭ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। মে মাসেও এই ধারায় রয়েছে বিদেশি ঋণের স্থিতি।

back to top