ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য ঋণ তথ্য ব্যুরোকে (সিআইবি) জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে। তা করতে হবে তৃতীয় মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্ত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর এ-সংক্রান্ত তথ্য সিআইবিকে জানাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে সিআইবিতে ডব্লিউ ডি বা উইলফুল ডিফল্টার হিসেবে দেখাতে হবে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া গ্রাহককে চিঠি দেওয়ার সময় সেটির অনুলিপি সিআইবিতেও পাঠাতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রমপুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং সিআইবিতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলসহ হালনাগাদ বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপন করতে হবে।
চলতি বছরের মার্চের শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এদিকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, এমন ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) নিবন্ধন সনদ বা লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব এনবিএফআইয়ের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানের যে ঋণ রয়েছে, তার বিপরীতে জামানতও খুবই কম। সে জন্য এসব এনবিএফআইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য ঋণ তথ্য ব্যুরোকে (সিআইবি) জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে। তা করতে হবে তৃতীয় মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্ত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর এ-সংক্রান্ত তথ্য সিআইবিকে জানাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে সিআইবিতে ডব্লিউ ডি বা উইলফুল ডিফল্টার হিসেবে দেখাতে হবে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া গ্রাহককে চিঠি দেওয়ার সময় সেটির অনুলিপি সিআইবিতেও পাঠাতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রমপুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং সিআইবিতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলসহ হালনাগাদ বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপন করতে হবে।
চলতি বছরের মার্চের শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এদিকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, এমন ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) নিবন্ধন সনদ বা লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব এনবিএফআইয়ের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানের যে ঋণ রয়েছে, তার বিপরীতে জামানতও খুবই কম। সে জন্য এসব এনবিএফআইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।