ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে (জানুয়ারি-মে) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে বাজারটিতে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইইউর বাজারে মোট ৩ হাজার ৯৭১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ শতাংশ
ইউরোস্ট্যাটের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইইউর বাজারে মোট ৩ হাজার ৯৭১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ শতাংশ।
ইইউতে শীর্ষ দুই তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশ। তবে পোশাক রপ্তানিতে চীনের কাছাকাছি অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দুই দেশের রপ্তানির ব্যবধান ৪২ কোটি ডলার। চীন ও বাংলাদেশের পর ইইউতে অন্য বড় রপ্তানিকারক দেশগুলো হচ্ছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় গন্তব্য হচ্ছে ইইউ। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে ইইউর বাজারে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ ইইউর বাজারে ৯৬৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৮২৩ কোটি ডলারের রপ্তানির চেয়ে ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
সামগ্রিকভাবে বাজারটিতে রপ্তানি বাড়লেও গত মে মাস ভালো যায়নি। ওই মাসে বাংলাদেশ ইইউতে ১৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম।
মে মাসে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমলেও চীনের বেড়েছে। চীন রপ্তানি করেছে ১৭১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের ১৪৫ কোটি ডলারের রপ্তানির তুলনায় ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ইইউতে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে)) ১ হাজার ১০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে চীন, যা গত বছরের একই সময়ের ৮৩৫ কোটি ডলারের রপ্তানির তুলনায় ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে গত এপ্রিল থেকে বাজারটিতে অস্থিরতা চলছে। চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে চীনের অনেক তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইইউর বাজারে ঝুঁকছে। এ কারণেই ইইউতে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশি পণ্যে আরোপ করা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কমানো না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি কমবে। পাশাপাশি ইইউর বাজারেও তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ইইউর বাজারে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে তুরস্ক, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কম।
এ ছাড়া ভারত চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। গত মে মাসে ভারত ৫০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে (জানুয়ারি-মে) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে বাজারটিতে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইইউর বাজারে মোট ৩ হাজার ৯৭১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ শতাংশ
ইউরোস্ট্যাটের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইইউর বাজারে মোট ৩ হাজার ৯৭১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ শতাংশ।
ইইউতে শীর্ষ দুই তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে চীন ও বাংলাদেশ। তবে পোশাক রপ্তানিতে চীনের কাছাকাছি অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দুই দেশের রপ্তানির ব্যবধান ৪২ কোটি ডলার। চীন ও বাংলাদেশের পর ইইউতে অন্য বড় রপ্তানিকারক দেশগুলো হচ্ছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় গন্তব্য হচ্ছে ইইউ। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে ইইউর বাজারে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ ইইউর বাজারে ৯৬৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৮২৩ কোটি ডলারের রপ্তানির চেয়ে ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
সামগ্রিকভাবে বাজারটিতে রপ্তানি বাড়লেও গত মে মাস ভালো যায়নি। ওই মাসে বাংলাদেশ ইইউতে ১৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম।
মে মাসে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমলেও চীনের বেড়েছে। চীন রপ্তানি করেছে ১৭১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের ১৪৫ কোটি ডলারের রপ্তানির তুলনায় ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ইইউতে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে)) ১ হাজার ১০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে চীন, যা গত বছরের একই সময়ের ৮৩৫ কোটি ডলারের রপ্তানির তুলনায় ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে গত এপ্রিল থেকে বাজারটিতে অস্থিরতা চলছে। চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে চীনের অনেক তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইইউর বাজারে ঝুঁকছে। এ কারণেই ইইউতে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশি পণ্যে আরোপ করা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কমানো না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি কমবে। পাশাপাশি ইইউর বাজারেও তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ইইউর বাজারে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে তুরস্ক, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কম।
এ ছাড়া ভারত চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। গত মে মাসে ভারত ৫০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ।