দক্ষিণ আমেরিকার এই অর্থনৈতিক পরাশক্তির উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার নীতিনির্ধারণী সুদের হার ১৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। টানা সাতবার সুদের হার বৃদ্ধির পর ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এলো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, উচ্চ সুদের হার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিনির্ধারণী কমিটি (কোপম) এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ব্রাজিলের ওপর শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ঘোষণা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বৃহত্তর অনিশ্চয়তার একটি পরিস্থিতিতে আমরা (তারা) সতর্ক অবস্থান নিয়েছি। এর আগে, ওয়াশিংটন ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিপণ্যের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে—যেমন বিমান, কমলার রস, গাছের গুঁড়ি থেকে তৈরি পাল্প, ব্রাজিল বাদাম, কিছু লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য।
শুল্ক আরোপের মাধ্যমে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অতি-ডানপন্থী মিত্র জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় ব্রাজিলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমেরিকান অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন।
যাকে তিনি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করেছেন।
ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির উপর যে শুল্ক আরোপ করছেন তার বিপরীতে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগুলো প্রকাশ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে শতাব্দীপ্রাচীন বাণিজ্য সম্পর্ক ও ব্রাজিলের মতে ২০২৪ সালে ২৮৪ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত উপেক্ষা করা হয়েছে।
ব্রাজিলের এই ১৫ শতাংশ নীতিনির্ধারণী সুদের হার—যাকে ‘সেলিক’ বলা হয় তা ২০০৬ সালের পর সর্বোচ্চ এবং এটি বিশ্বের অন্যতম উচ্চ সুদের হার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাংকটি ইতোমধ্যে পরপর সাতবার সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে খাদ্যদ্রব্য মূল্যস্ফীতি জুন মাসে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। যা সরকারের জনপ্রিয়তার জন্য খুবই সংবেদনশীল একটি ইস্যু ছিল।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ আমেরিকার এই অর্থনৈতিক পরাশক্তির উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার নীতিনির্ধারণী সুদের হার ১৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। টানা সাতবার সুদের হার বৃদ্ধির পর ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এলো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, উচ্চ সুদের হার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিনির্ধারণী কমিটি (কোপম) এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ব্রাজিলের ওপর শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ঘোষণা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বৃহত্তর অনিশ্চয়তার একটি পরিস্থিতিতে আমরা (তারা) সতর্ক অবস্থান নিয়েছি। এর আগে, ওয়াশিংটন ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিপণ্যের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে—যেমন বিমান, কমলার রস, গাছের গুঁড়ি থেকে তৈরি পাল্প, ব্রাজিল বাদাম, কিছু লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য।
শুল্ক আরোপের মাধ্যমে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অতি-ডানপন্থী মিত্র জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় ব্রাজিলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমেরিকান অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন।
যাকে তিনি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করেছেন।
ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির উপর যে শুল্ক আরোপ করছেন তার বিপরীতে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগুলো প্রকাশ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে শতাব্দীপ্রাচীন বাণিজ্য সম্পর্ক ও ব্রাজিলের মতে ২০২৪ সালে ২৮৪ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত উপেক্ষা করা হয়েছে।
ব্রাজিলের এই ১৫ শতাংশ নীতিনির্ধারণী সুদের হার—যাকে ‘সেলিক’ বলা হয় তা ২০০৬ সালের পর সর্বোচ্চ এবং এটি বিশ্বের অন্যতম উচ্চ সুদের হার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাংকটি ইতোমধ্যে পরপর সাতবার সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে খাদ্যদ্রব্য মূল্যস্ফীতি জুন মাসে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। যা সরকারের জনপ্রিয়তার জন্য খুবই সংবেদনশীল একটি ইস্যু ছিল।